নিজস্ব প্রতিনিধি : ঢাকার ধামরাইয়ে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ৭ম শ্রেণীর ১ছাত্রীকে অপহরণ করে বাড়ীতে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এই ঘটনায় তাকে রাতেই প্রাথমিক ভাবে ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় আনতে গেলে ধর্ষণকারীর লোকজন ভুক্তভোগীর পরিবারদেরকে মারধর করে সেখান থেকে ঐ ছাত্রীকে বাড়ীতে নিয়ে আটকিয়ে রেখে নির্যাতন করেছে বলে জানান পরিবার।
পরে রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করলে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহরণ ও ধর্ষণকারী মোঃ সাইম হোসেন (২১) নামে ১জনকে আটক করে এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এ ঘটনায় ২৫ অক্টোবর, শুক্রবার রাতে ঔ তরুণীর পরিবার ধামরাই থানায় অভিযুক্ত ধর্ষকসহ ২জনের নাম উলেখ্য করে এবং ৪/৫জনের নাম অজ্ঞাত দিয়ে মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ২৪/১০/২৪ ইং বিকালে নিজ বাড়ীর সামনে থেকে অপহরণ করে উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের মহিশাষী এলাকায় একটি ফাঁকা বাড়ীতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম মোঃ সাইম হোসেন, সে মহিশাষী এলাকার মোঃ আব্দুল কাদের এর ছেলে। অপর আসামী মোঃ আব্দুল কাদের।
মামলা ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, বেশ কিছু দিন ধরে অভিযুক্ত ধর্ষক সাইম হোসেন বিভিন্ন সময় ও স্কুলে যাওয়ার সময়ে আমার মেয়েকে উত্যক্ত করে প্রেমের প্রস্তাব দেন। আমার মেয়ে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাইম বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ীর সামনে থেকে অজ্ঞাত নামা কয়েকজন ছেলেকে নিয়ে একটি সিএনজি করে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে সারা রাত অনেক খুজাখুজি করে জানতে পারি মহিশাষী এলাকায় আছে। এরপর আমরা সামাজিক মান-সম্মান ও ইজ্জতের ভয়ে সেখানে গিয়ে মেয়েকে বাড়ীতে আনতে চাইলে ধর্ষকের পরিবার আমাদের উল্টো মারধর করে সেখান থেকে তারিয়ে দেয়।
এই বিষয়ে মহিশাষী এলাকার ইউপি সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, অপ্রাপ্ত মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণ করে জঘন্য খারাপ কাজ করেছে। এদের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, ৭ম শ্রেণীর ১ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষণকারী সাইমকে আটক করা হয়েছে। বাকী আসামীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী তরুণীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।