খবর ডেস্ক :
২৯৯ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১৯৭১ জন। এদের মধ্যে ভোট গ্রহণের মধ্যেই ২৮ প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। নির্বাচনে যাদের দিকে দেশবাসীর চোখ ছিল সেই কিং পার্টির অনেকেই ধরাসায়ী হয়েছেন। ‘২৬ আসন সমঝোতা’ করে নির্বাচনে অংশ নেয়া জাতীয় পার্টির বেহাল দশা। তবে নৌকার পাশাপাশি ডামি প্রার্থী হিসেবে পরিচিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ের হাসি হেসেছেন। এ রিপোর্ট পর্যন্ত নির্বাচনে যারা বিজীয় হয়েছেন তারা হলেন। পঞ্চগড়-২ মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তিনি নৌকা প্রতীকে ১ হাজার ৮১ হাজার ৭২৫ ভোট বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে লাঙ্গল প্রতীকে লুৎফর রহমান রিপন পেয়েছেন ৭ হাজার ৯২৭ ভোট।
নৌকার প্রার্থী ঠাকুরগাঁও-১ রমেশ চন্দ্র সেন বিজয়ী হয়েছেন। ঠাকুরগাঁও-২ আসনে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম বে সরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেয়া আসন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টি লাঙ্গনের প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি ১ লাখ ৮ হাজার ৫১৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৬৫ হাজার ২০৪ ভোট। ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে মোট ১২৮টি ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ১ লাখ ৮ হাজার ৫১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকে গোপাল চন্দ্র রায় পেয়েছেন ৬৫ হাজার ২০৪ ভোট।
দিনাজপুর-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জাকারিয়া। এ আসনে নৌকার প্রার্থী মনোরঞ্জন শীল গোপাল পরাজিত হয়েছেন। দিনাজপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বে সরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ওই আসনে ভোট কেন্দ্রের ভোট পেয়েছেন- ৭১৯০৯ ভোট আর তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার চৌধুরী জীবন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬৮৬ ভোট। দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আসনে নৌকার প্রার্থী ও সাবেক পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ৯৬ হাজার ৪৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারিক পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২৪ ভোট। নীলফামারী-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূর। বেসরকারি ভাবে ফলাফলে নূর ১ লাখ ৫ হাজার ৩৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৬৮২ ভোট।
লালমনিরহাট-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে মতিয়ার রহমান পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৪০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ঈগল প্রতীকের মো. জাবেদ হোসেন পেয়েছেন ১২ হাজার ৮০৮ ভোট। আওয়ামী লীগের সমঝোতার পর রংপুর-৩ আসনে জি এম কাদের বিজয়ী হয়েছেন। কুড়িগ্রাম-২ আসনে আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক খন্দকার বে সরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। সেখানে জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। কুড়িগ্রাম-৪ আসনে ৭৩ হাজার ৯৭৪ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ। তার প্রাপ্ত ভোট ৮৬ হাজার ৬৫৮। এ আসনে নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৪ ভোট। জয়পুরহাট-২ নৌকা মার্কার আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ১২০,০৮০ ভোটের ব্যবধানে বে সরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৫২,৩৭৮, নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী কাঁচি মার্কা ৩২,২৫৭।
বগুড়া ২ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে বে সরকারীভাবে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ বিজয়ী হয়েছেন। বগুড়া- ৫ আসনে মজিবুর রহমান মজনু নৌকার প্রতীক নিয়ে বে সরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। বগুড়া-৬ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন রাগেবুল আহসান রিপু। বগুড়া-৭ আসনে নৌকার প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ডা. মোস্তফা আলম। নওগাঁ-৩ সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী বে সরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজশাহী-২ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শফিকুর রহমান। কাঁচি মার্কা নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন ৫৫,১৪১টি। অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা নৌকা মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৩১,৪২৩ ভোট। রাজশাহী-৬ আসনে নৌকা প্রতীকে জয় পেয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। সন্ধ্যায় ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৮২৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী কাঁচি প্রতীকের রাহেনুল হক পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৬৫১ ভোট। ২৮ হাজার ১৭৬ ভোটে জিতেছেন নৌকার প্রার্থী শাহরিয়ার আলম। নাটোর-৩ নৌকার প্রার্থী জুনাইদ আহমেদ পলক বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ঘোষিত ফল অনুযায়ী পলক নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০২ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৯৯৭ ভোট।
পাবনা-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মোঃ মকবুল হোসেন বেসরকারি বিজয়ী হয়েছেন। মোট ১৭৬ কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী মকবুল হোসেন পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৯ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতিকের আব্দুল হামিদ পেয়েছেন ১ লাখ ১৫৯ ভোট।
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর ও ভেড়ামারা) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু পরাজিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩৬৭৩১ ভোট। ৪১২৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন। কুষ্টিয়া-৩ আসনে মোট ১৪০ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি নৌকা প্রতীকে ১ হাজার ২৭ হাজার ৮০৩ ভোট বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে ঈগল প্রতীকে পারভেজ আনোয়ার পেয়েছেন ৪২ হাজার ১২৮ ভোট।
মাগুরা-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি বে সরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আসনের ১৫১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি কেন্দ্র থেকে ১ লাখ ১৯ হাজার ২০৮টি ভোট পেয়েছেন সাকিব। সাকিবের নিকটতম প্রার্থী বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে ডাব মার্কায় অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ১২৮টি ভোট।
বাগেরহাট-৩ আসনে হাবিবুন নাহার নৌকা প্রতীক নিয়ে ৮৫ হাজার ৪১৭ ভোট পেয়ে বে সরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইদ্রিস আলী ইজারাদার ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ৫৭ হাজার ৬৫২ ভোট। বাগেরহাট-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী এইচ, এম, বদিউজ্জামান সোহাগ ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৫ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত বে সরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামিল হোসাইন ঈগল প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ভোট। যদিও গতকাল দুপুরে নির্বাচন বর্জনকারী পেয়েছেন।
খুলনা-৬ রশীদুজ্জামান আসনে নৌকার প্রতীক নিয়ে বে সরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন।পটুয়াখালী-১ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বে সরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া পটুয়াখালী-২ আ, স, ম, ফিরোজ বে সরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর পটুয়াখালী-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী এস. এম শাহজাদা। পটুয়াখালী-৪ বে সরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন মোঃ মহিববুর রহমান। ভোলার ৪ টি আসনে জয়লাভ করেছে নৌকার প্রার্থীরা। ভোলা -১ সদর আসনে তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান) আসনে আলী আজম মুকুল, ভোলা -৩ ( লালমোহন ও তজুমদ্দিন) আসনে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং ভোলা -৪ ( চরফ্যাসন ও মনপুরা) আসনে আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ভোলা-১ সদর আসনে নৌকার হেভিওয়েট প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) মো. শাজাহান মিয়া ৫ হাজার ৯৮০ ভোট পেয়েছেন। ভোলা-২ আসনে আওয়ামী লীগের (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী আলী আজম মুকুল ৮৬ হাজার ১৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয় পার্টি (জেপি) গজনবী (বাইসাইকেল) পেয়েছেন ১ হাজার ৬০৫ ভোট। ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ১ লাখ ৭২ হাজার ৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র (ঈগল) মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন ১৭ হাজার ৮১৫ ভোট পেয়েছেন এবং ভোলা -৪ আসনে আওয়ামী লীগের (নৌকা) প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব পেয়েছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয় পার্টির (নাঙ্গল) মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫ হাজার ৯১৮ ভোট। পিরোজপুর-২ আসনে পরাজিত হয়েছেন ১৪ দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন। ওই আসনে বিজয়ী হয়েছেন মহিউদ্দিন মহারাজ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। একসময় তিনি মঞ্জুর পিএস (ব্যক্তিগত সহকারী) হিসেবেও কাজ করেছেন। মহারাজ স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৫৪৪ ভোট, আর নৌকা নিয়ে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৯৬ ভোট। টাঙ্গাইল-৮ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয় ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে, গামছা প্রতীক নিয়ে ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট পেয়েছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। জামালপুর-৩ মির্জা আজম নৌকা প্রতীক নিয়ে বে সরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন।শেরপুর-২ নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর মতিয়া চৌধুরী বে সরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে। ময়মনসিংহ-১ আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে ৯৩ হাজার ৫৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদুল হক সায়েম। নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জুয়েল আরেং ১৯ হাজার ৬৭৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। ময়মনসিংহ-৮ স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদ হাসান সুমন। ওই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফখরুল ইমান পরাজিত হয়েছেন।
এ ছাড়া বিজয়ী হয়েছেন- নেত্রকোনা-১ মোশতাক আহমেদ রুহী বিজয়ী, নেত্রকোনা-২ মো. আশরাফ আলী খান খসরু, নেত্রকোনা-৩ ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার, নেত্রকোনা-৪, সাজ্জাদুল হাসান, কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দা জাকিয়া নূর, কিশোরগঞ্জ-২ সোহরাব উদ্দীন, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু, কিশোরগঞ্জ-৪ রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৬ নাজমুল হাসান, মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক, ঢাকা-১ সালমান ফজলুর রহমান, ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ, ঢাকা-১৬ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা-২০ বেনজীর আহমদ, নরসিংদী-৩ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, নরসিংদী-৪ নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আব্দুল্লাহ-আল-কায়সার, ফরিদপুর-৩ এ কে আজাদ, ফরিদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, গোপালগঞ্জ-১ মুহাম্মদ ফারুক খান, গোপালগঞ্জ-৩ শেখ হাসিনা, মাদারীপুর-১ নূর-ই-আলম চৌধুরী,
মাদারীপুর-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম, শরীয়তপুর-২ এ কে এম এনামুল হক শামীম, সুনামগঞ্জ-২ জয়া সেনগুপ্ত, সুনামগঞ্জ-৩ এম এ মান্নান, সিলেট-৬ নুরুল ইসলাম নাহিদ, মৌলভীবাজার-২ শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মৌলভীবাজার-৪ মো. আব্দুস শহীদ, হবিগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ-৪ ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মঈন উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আনিসুল হক, কুমিল্লা-৭ প্রান গোপাল দত্ত, চাঁদপুর-১ সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুর-২ মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী, চাঁদপুর-৩ ডা. দীপু মনি, নোয়াখালী-৫ ওবায়দুল কাদের, চট্টগ্রাম-১ মাহাবুব উর রহমান, চট্টগ্রাম-৪ এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম-৬ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, বান্দরবান বীর বাহাদুর উ শৈ শিং।
এ দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দলের নেতা-কর্মীদের বিজয় মিছিল না করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর বরাতে এ নির্দেশনার কথা জানান আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। তিনি বলেন, ফলাফল ঘোষণার পর কোনো প্রকার বিজয় মিছিল না করার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে অন্য প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সহিংসতা বা আত্মকলহে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।