
মানিকগঞ্জের দরবার শরিফের পীর সাহেব
নিজস্ব প্রতিনিধি : দৈনিক ইনকিলাব বস্তনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় প্রসংশা করলেন মানিকগঞ্জের দরবার শরিফের প্রধান খলিফা হযরত মাওলানা মুফতি ড.মনজুরুল ইসলাম সিদ্দিকী। তিনি শনিবার তালিমে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে মানিকগঞ্জের পটল ময়দানে তিন দিনব্যাপী তরিকতের ইজতেমায় লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মসুল্লিদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইজতেমায় আগত মুসুল্লিদের উদ্দেশ্যে পীর সাহেব বলেন, যে সব পত্রিকা পড়লে আত্মায় আলো আসবে না সেই সব পত্রিকা বিশ্বাস করা যাবে না । যে পত্রিকার মধ্যে ধর্ম দর্শন আছে সেই পত্রিকা পড়বেন। আমি ইনকিলাব পত্রিকা পড়ি। কারণ দৈনিক ইনকিলাবের মধ্যে আত্মায় আলো পাই। দৈনিক ইনকিলাব দেশ জাতি, ইসলাম ও মানবতার পক্ষে বস্তু নিষ্ঠু সংবাদ প্রকাশ করে। ইসলামী মূল্যবোধকে বিশ্বাস করে ইনকিলাব পত্রিকা। দৈনিক ইনকিলাবের গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনারা দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকা পড়বেন। কারণ দৈনিক ইনকিলাব মুসলিম উম্মাহ’র কথা বলেন। দেশ জাতির ক্রান্তিলগ্নে ইনকিলাবের ভূমিকা অপরিসীম।
তিনি আরো বলেন আমি মাঝে মধ্যে অন্য পত্রিকাগুলোও পড়ি। কারণ তারা যে অসত্য সংবাদ প্রকাশ করে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে লেখে তা জানার জন্য পড়ি। তিনি আরো বলেন, মানিকগঞ্জ দরবার শরিফের মরহুম পীর হযরত মাওলানা আজহারুল ইসলাম সিদ্দিকীর সাথে দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মরহুম হযরত মাওলানা এম এ মান্নান সাহেবের সাথে সুসম্পর্ক ছিল।
শনিবার আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মানিকগঞ্জ পটল ময়দানে শেষ হয় তিনদিন ব্যাপী তালিমে জিকির ইজতেমা।
শনিবার ইজতেমায় আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন মানিকগঞ্জ দরবার শরিফের প্রধান খলিফা পীরে কামেল হযরত মাওলানা মুফতি ড.মনজুরুল ইসলাম সিদ্দিকী। মোনাজাতে অংশ নেয় বাংলাদেশের লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মসুল্লি।
গত বুধবার থেকে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার পটল ময়দানে এই তালিমে জিকির ইজতেমা শুরু হয়। তিন দিনের ইজতেমায় শরিয়ত, হাকিক্বত, মারফিতসহ ধর্মীয় নানা বিষয়ে আলোচনা করেন দেশের প্রখ্যাত আলেম ওলামাগণ। মোনাজাতে দেশ,জাতি ও বিশ্ব মানব কল্যাণে দোয়া করা হয়।
এই ইজতেমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, চিশতিয়া কাদেরিয়া তরিকার ২১টি ছবকের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক মহাসাধনায় মানুষের আত্মিক উন্নতি ঘটিয়ে আত্মশুদ্ধির ব্যবস্থা করে মহান স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করে ইসলামের সু-শীতল ছায়াতলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। ইজতেমায় দল মত জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্ব মানবতার প্রতীক হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ ও আল্লাহ তা’আলার পরিচয় জ্ঞান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়েছে।
পটল ময়দানে ৩ দিনের ইজতেমায় আগত পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা প্যান্ডেল, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য টয়লেট ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বসুন্ধারা ফাউন্ডেশনের আফরোজা বেগম জেনারেল হাসপাতালে উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হয়। ইজতেমার নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা,ওয়াচ টাওয়ারের পাশপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের গোয়েন্দা আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত ছিল। এছাড়া ইজতেমায় ধর্মীয় ও তরিকতের বয়ান করেন দরবারের প্রধান খলিফা হযরত মাওলানা ড. মনজুরুল ইসলাম সিদ্দিকী,ড.আব্দুল মোমিন সিরাজী,মাওলানা আবু জাফর,হযরত মাওলানা ইসমাইল হোসেন,মাওলানা শহিদুল ইসলাম যুক্তিবাদী ও হযরত মাওলানা শহিদুল্লাহ।ই