
ডেস্ক : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকা-সহ ঢাকার মিরপুর ও চট্টগ্রামে কারখানায় আগুনের ঘটনা জনমনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় টহল ও নজরদারি জোরদার করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সর্তক থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বিমানবন্দরে আগুন লাগার পর মৌখিক নির্দেশে কেপিআই (রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো) এলাকাগুলোয় অতিরিক্ত টহল ও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। জেলা পর্যায়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তদারকির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার আইজিপি বাহারুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সারা বছরই নিরাপত্তা জোরদারে নির্দেশনা থাকে। কেপিআই এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে।
সূত্র জানায়, বঙ্গভবন, গণভবন, জাতীয় সংসদ, সচিবালয়, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ৫৮৭টি স্থাপনা কেপিআই হিসেবে চিহ্নিত। এসব স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০১৩ সালের সংশোধিত নীতিমালায় নিয়মিত টহল, প্রতিবেদন পাঠানো, সিসিটিভি, ভেহিকেল সার্চ মিরর ও লাগেজ স্ক্যানার স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, বিমানবন্দর বা ইপিজেডের মতো স্থানে দীর্ঘ সময় ধরে আগুন জ্বলা অস্বাভাবিক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তদন্ত সংস্থাগুলোর উচিত প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে এর পেছনের রহস্য উদঘাটন করা।ই