তুচ্ছ ঘটনার জের : মহেশখালীতে মামার হাতে ভাগিনা কাশেম খুন

নিজস্ব প্রতিনিধি : কক্সবাজারের মহেশখালীতে মামা ও মামাতো ভাইদের হাতে খুন হয়েছে মো. কাসেম (৩৫) নামে এক ব্যক্তি। ফিশিং বোট মালিকের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেওয়ার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানা যায়। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার কুতুবজুম ইউনিয়নের কামিতার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কাসেম ওই গ্রামের মৃত নুরুল আলম প্রকাশ কালা মিয়ার ছেলে। এলাকাবাসীরা জানান, নিহত কাসেম একজন ফিশিং ট্রলারের শ্রমিক। তার প্রতিবেশী আপন মামা আব্দুল গফুর ও হাছন আলী এবং তাদের ছেলেরাও ফিশিং বোটে জেলে শ্রমিকের কাজ করেন। তারা ঘটিভাঙা এলাকার এক বহদ্দারের (মালিক) কাছ থেকে অগ্রিম টাকা চাইলে বহদ্দার টাকা না দেওয়ায় তাদের ভাগিনা মো. কাসেম বহদ্দারকে টাকা দিতে নিষেধ করেছে বলে সন্দেহ করে। এ নিয়ে বেলা ১১টায় মামা ভাগিনার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে দুপুর ২টার দিকে মামা ও মামাতো ভাইয়েরা মো. কাশেমের বাড়িতে ঢুকে তাকে ধারালো কিরিচ দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।

নিহত কাসেমের ভাই খাইরুল আমিন ও স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, কাসেমের সাথে তার আপন মামা মো. গফুর ও হাছন আলীর সাথে বহদ্দার কর্তৃক অগ্রিম টাকা না দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এই ঘটনায় কাসেমের ছয় বছরের কন্যা শিশু সকালে স্কুলের যাওয়ার পথে তাকে পথ অবরোধ করে মারধর করতে চায় হাছন আলী, আব্দুল গফুর ও তার ছেলেরা। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে স্কুলে পৌঁছে দিলে আব্দুল গফুর, হাছন আলী, গফুরের পুত্র সাজ্জাদ, শাহেদ খান, রিফাত ও রাসেল স্থানীয় কবির বাজারে গিয়ে কাসেমকে মারধর করে। পরে তিনি প্রাণে বাঁচতে বাজার থেকে দৌঁড়ে নিজ বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে আব্দুল গফুর, হাছন আলী ও তাদের ছেলেরা ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে ঢুকে তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাসেমকে মৃত ঘোষণা করে।

মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রতুল কুমার শীল বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ টিম পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশ মাঠে রয়েছে।আ

মন্তব্য করুন