নিজস্ব প্রতিনিধি : জাতীয় চারিত্রিক, ওয়ারিশ সহ নানান পত্র পেতে বিরাম্বনা, সহজে পাওয়ার দাবী জানাচ্ছেন সীতাকুণ্ডবাসী।
সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগষ্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর সীতাকুণ্ডের ৯ ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভার সকল চেয়ারম্যান,মেয়র ও প্রায় মেম্বার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়, বেশ কয়েকদিন এসব পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ থাকে প্রায় একমাস যাবত। জনগনের ভোগান্তি ও জরুরী প্রয়োজনে অন্তর্বতী সরকার সরকারী বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের কে বন্টন করে দেন। কার্যক্রম চালুর অনেক দিন পর প্রতিটি ইউনিয়নে একজন মহিলা মেম্বার কে শুধুমাত্র যাচাই বাচাই করে সুপারিশ করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়।
অনলাইনে আবেদন ও উপজেলা ইউ এন ও দপ্তর থেকে অনলাইনে গ্রহন করার পর ইউনিয়ন পরিষদ অপারেটর প্রিন্ট করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দপ্তরে আবার নিয়ে যাবেন উনার সই নেয়ার জন্য। তখন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দফতে থাকলে সই করেন কিছু,অথবা রেখে যেতে বলেন পরে দেখবেন,পরেরদিন আবার উপজেলা গিয়ে কম্পিউটারম্যান সই করা কাগজগুলো নিয়ে যান, কোন ভূল থাকলে পূনরায় পরিষদে পাঠিয়ে দেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগন ইউ এন ও, এসি (ল্যান্ড), এলজিইডি প্রকৌশলী, টিএইচও ডাক্তার,ওসি,কৃষি কর্মকর্তা,মৎস কর্মকর্তা,পশু সম্পদ কর্মকর্তা,পিআইও, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই মাঠে থাকেন প্রকল্প পরিদর্শন,তদন্ত ও পরামর্শ দিতে। অবার অনেকেই যেতে হয় জেরা কর্মকর্তার দপ্তরে নানান কাজে।
ফলে জরুরী প্রয়োজনে ইউনিয়ন ও পৌরসভার কাগজ পত্র গুলো সই করতে বিলম্বিত হয়।
সরকার নতুন ভোটার করবেন ঘোষনা দেয়ার পর জন্ম নিবন্ধন, করতে ইউনিয়ন পরিষদে মানুষের ভীড় লেগেই থাকে। নির্ধারিত সময়ে নতুন ভোটার প্রত্যাশীগন তাদের জন্ম নিবন্ধন যথা সময়ে পাবেন কিনা সন্ধিহান। এসব কাগজপত্র পেতে কমপক্ষে এক থেকে দেড় মাস সময় লেগে যায়।
স্থানিয়দের প্রস্তাবঃ জন্মনিবন্ধন, জাতীয় ও চারিত্রিক সার্টিফিকেট স্থানীয় পূর্বের একজন মেম্বার বা পরিষদের ও পৌর সচিবকে দিলে ভূক্তভোগীদের হয়রানী কিছুটা লাগব হবে। ওয়ারিশ সার্টিফিকেট যেহেতু কিছুটা জটিল এই দায়িত্বটি ইউ এন ও, এসি(ল্যান্ড), বা দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের হাতে রাখা যেতে পারে। বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার জন্য সরকারের কাছে সাংবাদিকদের মাধ্যমে দাবী জানান ভূক্তভোগীগন।
এব্যাপারে ইউএনও কেএম রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানায়, ইউনিয়ন পৌরসভার দাযিত্বপ্রাপ্তরা উনাদের দফতরের কাজকে সম্পন্ন করে এবং এর ফাকে অতিরিক্ত দাযিত্ব প্রাপ্তগুলো ও সম্পন্ন করছে, এতে কিছুটা বিরম্বনা থাকতেই পারে, তাছাড়া যাচাই বাচাই করতে ও কিছুটা সময় লাগে, তবে কোন কাজই আটকে নেই দেরীতে হলেও হচ্ছে।