জাতিকে আর বিভাজনের সুযোগ দেব না : জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিনিধি : দলের, ধর্মের ও গোষ্ঠীর ভিত্তিতে জাতিকে আর ‘বিভক্ত করার সুযোগ’ দেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, পুরো বাংলাদেশকে এক করতে হবে। ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতকে এক করতে হবে। জাতিকে যারা ‘ভাগ’ করে, তারা ‘দুশমন’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে আমরা আপোষহীন।

গতকাল শুক্রবার গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আয়োজনে শহরের রাজবাড়ী মাঠে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন দলটির শীর্ষ নেতা। সরকার পতনের আন্দোলনে যাদের প্রাণহানি হয়েছে, তাদের ‘সঠিক স্বীকৃতি’ও দাবি করেন শফিকুর। তিনি বলেন, প্রতিটা শহীদ পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে যেন সরকার সম্মানজনক চাকরির ব্যবস্থা করে। লড়াই করে যারা আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে, তাদেরও যেন সম্মানজনক চাকরি দেওয়া হয়। তারা যেন আজীবন কারো করুণার পাত্র হয়ে না থাকে। খবর বিডিনিউজের।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে জামায়াতের ওপর ‘ইতিহাসের বর্বরতম নির্যাতন হয়েছে’। আমাদের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে। জুলুম করে ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ড’ ঘটানো হয়েছে। আমরা দেখতে চাই, এই জগতে সেই ‘হত্যাকারীদের’ বিচার হয়েছে। ‘হত্যার’ পরিকল্পনাকারী, মাস্টারমাইন্ড, বাস্তবায়নকারী, আদালতে বসে যারা ‘দুষ্টু’ রায় দিয়েছেন, ‘মিথ্যা’ সাক্ষী দিয়েছেন, তদন্ত করতে গিয়ে যারা ‘নাটক’ সাজিয়েছেন, এদের কেউ যেন ‘অপরাধ’ থেকে রেহাই না পায়।

গত ৫ অগাস্টের পর জামায়াতের নেতাকর্মীরা কোথাও কারও ব্যবসা বা বাড়িতে হামলা করেনি বলেও দাবি করেন শফিকুর। তৈরি পোশাক শিল্পের অসন্তোষের পেছনে চক্রান্ত আছে বলেও দাবি করেন জামায়াত আমির। ‘মতলববাজরা’ মালিক–শ্রমিকের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধিয়ে রাখে মন্তব্য করে শফিকুর বলেন, উদ্যোক্তা এবং মালিক যদি না থাকেন, শ্রমিকেরা কোথায় কাজ করবে? শিল্প যদি না বাঁচে কর্মসংস্থান কোথায় হবে? আমরা চাই, ব্যবসায়ীরা তার জায়গায় বসে ব্যবসা করুক, কোনো দুর্বৃত্তের সাহস হবে না তার কাছে চাঁদা চাওয়ার। বাজারে স্বস্তি থাকবে, সহনীয় দ্রব্যমূল্য থাকবে, যাতে প্রতিটি মানুষ তার সামর্থ্য অনুযায়ী স্বস্তির সঙ্গে বসবাস করতে পারে।

যারা সমাজের ‘দুশমন’, তারাই শিল্প ধ্বংস করতে চায় মন্তব্য করে জামায়াত নেতা বলেন, তারা শ্রমিকদের আবেগকে উসকে দিয়ে রাস্তায় নামায়। তারা বলে, শ্রমিকেরা ঘরে বসে বেনিফিট পাবে। কিছু কিছু মালিক আছেন, তারা চান শ্রমিকদের ঘাম নয়, পারলে তাদের রক্ত চুষে নিতে, এটা অন্যায়।আ

মন্তব্য করুন