
অংশ নেবেন দেশ-বিদেশের ইসলামী স্কলারবৃন্দ
নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে আহলে বায়তে রাসুলের স্মরণে আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক শাহাদাতে কারবালা মাহফিল। ১০দিন ব্যাপী ৩৯তম মাহফিলে বিশ্ব বরেণ্য ইসলামিক স্কলার, পীর মাশায়েখ আহলে বায়তে রসুলের মান–মর্যাদা নিয়ে আলোচনা করবেন। মাহফিলের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমান।
গতকাল শনিবার এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমান আসন্ন মাহফিলের বিস্তারিত কর্মকাণ্ড উপস্থিত সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, শান্তির ধর্ম ও মানবতার ধর্ম পবিত্র ইসলাম। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা ও তাঁর সাহাবা কেরাম, আউলিয়ায়ে কেরামসহ পুণ্যাত্মা মনীষীরা যুগে যুগে মানুষের জয়গান প্রচার করেছেন। তেমনিভাবে ইমাম হোসাইন (রা.) ও আহলে বায়তে রাসূল (সা.) এর দর্শন ছিল শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং কল্যাণ ও ইনসাফের পতাকাকে সমুন্নত করা। তিনি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মাহফিলের সৌন্দর্য ও সাফল্যের অবদান রাখার আহ্বান জানান।
আহলে বায়তের শানে ১ থেকে ১০ মহররম (৮ থেকে ১৭ জুলাই) পর্যন্ত মাহফিল সফল করতে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান নবী প্রেমিকদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। মাহফিলে বাগদাদ থেকে বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রা.) দরবারের সাজ্জাদানশীন ও সরাসরি বংশধর শাহসুফি সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল–মনসুর আল–জিলানী, ভারতের কাছওয়াসা দরবার শরীফের কায়েদে মিল্লাত সৈয়দ মাহমুদ আশরাফ আল আশরাফি আল–জিলানী, সৈয়দ আশরাফ আশরাফী আল–জিলানী ও সৈয়দ নুরানী মিয়া আল–জিলানী, কোলকাতার টিপু সুলতান জামে মসজিদের খতিব শাহসুফি সাখাওয়াত হোসেন বরকতীসহ বিশ্ববরেণ্য স্কলারবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। তাছাড়া দেশের ইসলামিক স্কলারগণ প্রতিদিন বক্তব্য রাখবেন।
মাহফিলে প্রতিদিন পীর মাশায়েক, মন্ত্রীবর্গ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, সরকারি–বেসরকারি কর্মকর্তা ও দেশবরেণ্য আলেমগণ উপস্থিত থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ৮ জুলাই থেকে প্রতিদিন বাদ আছর আহলে বায়তে রাসুলের উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন দেশবরেণ্য আলেম ও বিদেশি ইসলামিক স্কলারগণ বক্তব্য দেবেন। মাহফিলে যোগদান করে আহলে বায়তে রাসুলের মহব্বত অন্তরে ধারণ করে দু’জাহানের কামিয়াবি হাসিল করার আহ্বান জানানো হয়। এতে ড. মোহম্মদ জাফর উল্লাহ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
পরিষদের প্রচার সম্পাদক দিলশাদ আহমেদ সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন ও অতিথিসহ আগত সুধিবৃন্দকে কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারী জেনারেল আনোয়ার হোসেন, গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক ও মাহফিলের প্রধান সমন্বয়ক আলী হোসেন সোহাগ, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব মওলানা আবু তালেব মো. আলাউদ্দিন. প্যনেল মেয়র কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবুল হাসানাত মো. বেলাল, সহ–সভাপতি খোরশেদুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, ড. জাফর উল্ল্যাহ, সিরাজুল মোস্তফা, জেনারেল সেক্রেটারী প্রফেসর কামাল উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিদারুল আলম, মোহম্মদ সাইফুদ্দিন, জাফর আহমদ সওদাগর, আবদুল হাই মাসুম, হাফেজ সালামত উল্লাহ, এস এম সফি, ক্যাপ্টেন এনামুল হক, মনসুর শিকদার, মাহবুবুল আলম, খোরশেদ আলী চৌধুরী, মৌলানা নুর মোহম্মদ সিদ্দিকী, হাফেজ আহমাদুল হক, মাইনুদ্দিন মিঠু, মো. সাহাবুদ্দিন, জহির উদ্দিন, ইয়াসিন আরাফাত, অধ্যাপক অহিদুল আলম প্রমুখ।