লেখক:_মো:ওসমান হোসেন সাকিব
তারিখ:_১৮ নভেম্বর ২০২৪ইং,সোমবার
গাছে ঝুলে থাকত পাকা আমগুলো।দেখতাম আমরা ঙ্কুলে যাওয়ার সময়।মূলত, আমি গ্রীষ্মকালের কথাই বলছি।যেটাকে মধুমাস ও বলা হয়।বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালের এই মৌসুমে গাছে গাছে পাকা ফল-মূলের সমাহার দেখা যায়।
বাংলা মাসের বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে আম,কাঠাঁল,জাম,বেল অর্থাৎ ফলজ গাছগুলোতে ফুল আসা শুরু করে।বিশেষত,আমরা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সাথে আমগাছের সাথে পরিচিতি বেশ ভাল।গ্রাম-বাংলার জনপদের দ্বারে দ্বারে আমগাছে দেখা মিলে।সেই সুবাদে গ্রামীণ ছেলে-মেয়েদের ও আমের প্রতি একটা লোভ থাকে।
ছোট্টবেলায় বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দল বেধেঁ ঙ্কুলে যাওয়া হত।আমরা সবসময় কমের মধ্যে ৫-৬ জন তো থাকতামই।ঙ্কুলের যাওয়ার বেলায় দেখা মিলত সেই প্রলোভনকারী রসালো,পাকা আমটির সাথে।বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই বলত,বন্ধু চল আমটিতে ঢিল মারি।পরলে সবাই ভাগ করে খাব।কিন্তু আমরা কেউ কেউ বলতাম,না বন্ধু এখন না।এখন আমটিতে ঢিল মাড়লে ড্রেসে ময়লা হয়ে যাবে।তখন সবাই বলত,আচ্ছা ঠিক আছে।ঙ্কুল থেকে আসার সময়...
পাকা আমটি যেন সবাইকে মাস্তি করেছে।ঙ্কুল ছুটি দেয়ার পর সবাই দৌড়ে দৌড়ে আম গাছটির তলায় চলে আসতাম।ঙ্কুলের ব্যাগ আর ড্রেস সব এক জায়গায় ফেলে রেখে,ওই পাকা আমটিতে ঢিল মারা শুরু করতাম।সবাই সবদিক থেকে মারতাম,কিন্তু আমটি বোঁটা থেকে ছিড়ানো কষ্টসাধ্য হয়ে যেত।প্রায় আধাঘণ্টা কি একঘণ্টার চেষ্টা করে আমটি পাড়তে পারতাম।সবাই মিলে এমন খুশি হতাম যে,আমটিকে নিয়ে আমরা এক কোণায় চলে যেতাম।
এক আমটি খাওয়ার পালা।সচরাচর আমরা আম খাওয়ার সময় এইগুলো ধৌত করি আর ছুড়ি দিয়ে সুন্দর করে করে কাটি..না?কিন্তু তখন তো আর ওই মনমানসিকতা থাকত না।সবাই আমটি খাওয়ার জন্য উদগ্রীব,সেহেতু আমটির উপরের অংশ দাঁত দিয়ে ছুলে ফেলতাম।এমন করতাম যে,যেন আমটি একটু একটু খাইতে পারলেই স্বাদ মিঠে যাবে।
যখনই আমরা অনেক আশা-ভরসা নিয়ে কামড় দিতাম,দেখা যেত আমটি পঁচা,ভেতরটা পোকায় খেয়ে ফেলছে।তখন সবার মনে একটা বিরহজড়িত অবস্থা বিরাজ করত।আমরা সবাই নিরুপায় হয়ে আমটি ফেলে দিতাম।
শুধু আমার ক্ষেত্রে, শৈশববেলায় প্রত্যেকের সাথে এমন এমন কতগুলো বিষয় ঘটত; যার জন্য আমরা প্রস্তুত থাকতাম না।যা আমাদের মন চাঞ্চল্যকে নৈরাশ করে দিত।আমাদের মনের অনুভূতিগুলোকে প্রাণ-সঞ্চার ঘটতে দিত না।ইচ্ছ,অনুভূতিগুলো অপূর্ণতায় থেকে যেত।
ঠিকানা:_পশ্চিম এলাহাবাদ,চন্দনাইশ,চট্টগ্রাম।
শিক্ষার্থী:__গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ,ব্যবস্থাপনা বিভাগ।