
ডেস্ক : জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা গণহত্যার মূলহোতা ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না। এই ঘটনায় চরম মর্মাহত হয়েছেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের নেতৃত্বে পরিচালিত গণহত্যায় শহীদদের পরিবার ও আহত হওয়া ছাত্র-জনতা।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরীর জামিন স্থগিত নিয়ে সাংবাদিকের ব্রিফিংয়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে পান্না খুনী হাসিনার পক্ষে আদালতে আইনি লড়াইয়ে নিজের ইচ্ছার কথা জানান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সুযোগ হলে আমি শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়াব।
তিনি আরো বলেন, আমি সবসময় নিপীড়িতের পক্ষে আছি। সে যেই হোক না কেন। শেখ হাসিনা রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
পান্নার কড়া সমালোচনা করে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে লিখেছেন, জেড আই খান পান্না দেখলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করছিলেন এটা বলে যে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। এই মানুষটারে আমি বহু আগ থেকেই ম্যোরালি ডিজঅনেস্ট মনে করতাম, লাস্ট তিনমাসে সেই ধারণাকে আরও পাকাপোক্ত করেছেন তিনি।
হাসিনা এবং তার সাগরেদদের মামলা পাওয়ার জন্য মানে সরল ভাষায় বিশাল অঙ্কের টাকা ইনকাম করার ধান্দায় এই লোক রীতিমতো এবসার্ড কথাবার্তা বলা শুরু করেছে।
স্বৈরাচারী পলাতক খু-নি হাসিনা, যে কিনা বিগত ১৫ বছরে দেশটাকে জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছিলো, তার পক্ষে এইরকম নির্লজ্জ দালালিপনা করা মানুষকে দেখলেও ঘেন্না লাগে!
মোহাম্মদ রাশেদ মিয়া লিখেছেন, অতি সুশীলতা দেখাচ্ছে। বিগত ১৫ বছরে তার তেমন কোন উচ্চ বাচ্য দেখিনি। সে বলছে বিগত ১৫ বছরের তুলনায় আনুপাতিক হারে নাকি এই তিনমাসে বেশি মামলা হয়েছে। অথচ সে জানেনা বিএনপি জামাতের নেতা কর্মীদের অসংখ্য মামলা দিয়েছিল। এদের মত লোকদের জন্য পলাতক হাসিনা স্বৈরাচার হতে পেরেছে। এদের সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত। এদেরকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।এরা দেশ ও জাতির শত্রু।
রিয়াদ ইসলাম লিখেছেন, মুরুব্বি মানুষ গালিগালাজ করলেও খারাপ লাগে,
এর মতো দালাল আইনজীবী বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি আর নেই। বিগত সময় স্বৈরাচারী হাসিনার সবগুলো অপকর্মকে বৈধতা দেওয়ার মূল হোতা ছিল এই পান্না। এখন আবার খুনি হাসিনার হয়ে মামলা লড়ার ঘোষণা দিচ্ছে। ফ্যাসিবাদকে বৈধতা দেওয়া এবং পুনর্বাসনের অভিযোগে পান্নাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হোক যেন ভবিষ্যতে কেউ স্বৈরাচারের পক্ষপাতিত্ব করার সাহস না পায়।
হাফিজুর রহমান লিখেছেন, আফসোস আপনাদের মত আইনজীবীগন এতগুলো তাজা শহীদের রক্তের সাথে যাদের দাগ লাগানো আছে তাদের পক্ষেই কাজ করবেন?????আপনাদের লজ্জা শরম নেই এই জাতি আপনাদের ধিক্কার জানাই ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ ইব্রাহিম লিখেছেন, স্বৈরশাসকের দোসর কখনোই হাইকোর্টে থাকার অধিকার রাখেনা, গনহত্যাকরীর পক্ষ নেওয়া গনহত্যাকারীর সহযোগিতার সামিল। তাই এই আইনজীবীকে গনহত্যাকারীর সহযোগী হওয়ার কারনে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হউক।
মোঃ আব্দুল আলীফ লিখেছেন, হঠাৎ করে এত সুশীল সমাজ বেড়ে গেল কারণ কি ভাই? যখন আবরার কে হত্যা করে,
হেফাজত হত্যা, পিলখানা হত্যা, ছাত্র হত্যা, সাগর রুনি হত্যা,তনু হত্যা,সীমান্তে হত্যা, মাহফিল বন্ধ, ইফতারে বাধা, কেউ মারা গেলে ইন্না-লিল্লাহ বলতে বাধা, গায়েবানা জানাযা পড়তে বাঁধা, হলে সিট বাণিজ্য, আয়নাঘরে বন্দি, অর্থ পাচার, চাঁদাবাজী, গনতন্ত্র ধ্বংস, প্রশ্নফাস, বাকস্বাধীনতা ধ্বংস,আইনি হয়রানি এসবের বিরুদ্ধে তো সুশীল সমাজের এতো সমালোচনা ছিল না।এর মানে বুঝতে হবে এরা লীগের দোসর।ই