
৬ মাসে সংঘটিত ৩ শতাধিক ঘটনায় ব্যবহৃত হয়েছে এসব অবৈধ অস্ত্র
নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম জেলা ও নগরে ব্যাপক হারে বেড়েছে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার। রাজনৈতিক সহিংসতা, হত্যা, আধিপত্য বিস্তার, বালু ও মাটি ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, জায়গা দখল-বেদখল, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র। গত ৬ মাসে চট্টগ্রামের ৩ শতাধিক ঘটনায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রামের ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্রের অন্যতম উৎস হচ্ছে মিয়ানমারের কুখ্যাত ‘ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল’।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ২৭১ কিলোমিটারের কমপক্ষে ১৫ রুট দিয়ে ‘ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল’ থেকে আসছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। এ রুটগুলোর মধ্যে রয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি, বালুখালী কাস্টমস ঘাট, উখিয়ার পালংখালী এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নলবনিয়া। একাধিক সূত্রের মতে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা দুর্গম, গহিন ও পাহাড়ি এলাকা। ওই এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন অস্ত্র পাচারে জড়িত রয়েছে।
এ পয়েন্ট দিয়ে আসা বেশির ভাগ অস্ত্র যায় ৩ পার্বত্য চট্টগ্রামের অরণ্যে থাকা সন্ত্রাসীদের কাছে। অন্য ২টি পয়েন্ট দিয়ে আনা অস্ত্র যায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে। এ ছাড়া নাফ নদী দিয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং, উলুবনিয়া ও টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা, দমদমিয়া, জাদিমুরা, নয়াপড়া এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বরইতলী খাল দিয়েও আনা হয় অস্ত্র। রোহিঙ্গারাই এ রুটগুলোর অস্ত্র পাচারে নেপথ্যে কাজ করছে।
মিয়ানমার সীমান্ত থেকে দেশে অস্ত্র পাচারে সক্রিয় রয়েছে ১০টি চক্র। এর মধ্যে আছে আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সশস্ত্র ৪টি দল আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা), রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসী হালিমের নেতৃত্বাধীন হালিম গ্রুপ ও নবী হোসেন গ্রুপ। মিয়ানমার থেকে আসা বেশির ভাগ অস্ত্রই চলে আসে চট্টগ্রামের অপরাধী চক্রগুলোর কাছে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেলার প্রতিটি থানার অবৈধ অস্ত্রধারীদের তালিকা হালনাগাদ করার কাজ চলছে। তালিকা তৈরি করা হচ্ছে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে। অস্ত্রও উদ্ধার হচ্ছে। আর র্যাব-৭ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ আর এম মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে। র্যাবের অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।বা:প্র:সূত্রে।