নিজস্ব প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়া থানার বাউন্ডারি লাগোয়া প্রবাসীর বাড়িতে গভীর রাতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরোতেই বিএনপি নেতাসহ ৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে লুণ্ঠিত কিছু টাকাও।

আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবার বিকেলে থানা পুলিশ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত হলেন- চকরিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাহারিয়াঘোনাস্থ খোন্দকার পাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে ও একই ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. নয়ন চৌধুরী (৪৫), একই ওয়ার্ডের ঘাট পাড়ার কবির আহমদের ছেলে মো. ইসমাইল (৩৫) ও পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাটাখালী এলাকার মমতাজ উদ্দিন আহমদের ছেলে মো. হানিফ (৪৩)।

পুলিশ জানায়- থানার বাউন্ডারি লাগোয়া ও পুলিশের চকরিয়া সার্কেল অফিসের সামনের প্রবাসী শ্রীমন্ত দাশের বাড়িতে শনিবার ভোররাত আড়াইটার দিকে মুখোশ পরিহিত একদল সশস্ত্র ডাকাত হানা দেয়। এ সময় দারোয়ান রবীন্দ্র দাশকে ছুরিকাঘাত ও হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখার পর প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রী রুবী দাশ ও দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া সুক্তা দাশকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ লাখ টাকা, তাদের শরীরে থাকা ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ২টি এনড্রয়েড মোবাইল ও দামি মালামালসহ প্রায় ৭ লাখ টাকার সম্পদ লুট করে।

এই ঘটনার পর পুলিশ ডাকাতিতে সম্পৃক্তদের ধরতে মাঠে নামে এবং থানা ও সার্কেল অফিসের আশপাশের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। সেই ফুটেজ দেখে প্রথমে হানিফ নামের ১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডাকাতিতে সম্পৃক্ত আরও ২জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় স্ত্রী রুবী দাশ বাদী হয়ে থানায় মামলা রুজু করেছেন। এই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ৩ ডাকাতকে রবিবার বিকেলে আদালতে উপস্থাপন করা হলে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেন বিচারক।

ওসি-চকরিয়া বলেন, ডাকাতিতে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারসহ লুণ্ঠিত বাকী মালামাল উদ্ধারের জন্য গ্রেপ্তার ৩ ডাকাতকে রিমান্ডে নেওয়া হবে। এজন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।আ