গারাংগিয়া মহিলা মাদরাসার অধ্যক্ষ নূরুল আলম ফারুকীর পদত্যাগ দাবিতে ছাত্রীদের মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার গারাংগিয়া মহিলা মাদরাসার অধ্যক্ষ নূরুল আলম ফারুকীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্কুল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
২৮ আগষ্ট, বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার গারাংগিয়া মহিলা মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন দেখা যায়, সকাল ১০টায় মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ক্লাসের বাইরে অবস্থান করছে। পরে মাদরাসার মধ্যে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এ সময় অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান এবং পদত্যাগের দাবি জানান তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে। তাদের এক দফা দাবি অধ্যক্ষের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচির চালিয়ে যাওযার ঘোষনাও দেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
গারাংগিয়া ইসলামিয়া রব্বানী মহিলা মাদ্রাসার স্বৈরাচার, দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ নুরুল আলম ফারুকীর পদত্যাগ জানিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সমূহ :
০১. দপ্তরি কর্তৃক শিক্ষার্থী ধর্ষিত হওয়া সত্ত্বেও একই দপ্তরিকে পুনর্নিয়োগ করা।
০২. হোস্টেলে অবস্থানরত কয়েকজন পরীক্ষার্থীদেরকে অন্যায়ভাবে সন্ধ্যাবেলায় হোস্টেল থেকে বের করে দেয়া।
০৩. ছাত্রী সংস্থা (বাংলাদেশ জামাআতে ইসলামীর অঙ্গ সংগঠন) তল্লাশির নামে হোস্টেলে পুলিশ ডেকে শিক্ষার্থীদেরকে হয়রানি করা।
০৪. শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে প্রায় সময় দূর্ব্যবহার করা।
০৫. নিজস্ব গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে এতিমদের যাকাত ফান্ড আত্মসাৎ করা।
০৬. একাডেমিক ডকুমেন্টস তোলার ক্ষেত্রে টাকার লেনদেনে অসচ্ছতা এবং শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে অপমান করা।
০৭. এতিমদের জন্য বাইরে থেকে আসা খাবার, পোষাক ও টাকা আত্মসাৎ করা এবং তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা।
০৮. নিজের আত্মীয় স্বজনকে অবৈধভাবে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়া।
০৯. কোচিং এর নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা অন্যথায় প্রবেশ পত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড আটকিয়ে রাখা।
১০. ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের হুমকি ধমকি এবং প্রলোভনের মাধ্যমে বিষয়গুলো ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা।
১১. স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের অন্যতম দালাল।
১২. মাদরাসা কামিল শ্রেণীতে পাঠদান কিংবা কোনধরণের অনুমোদনের তোয়াক্কা না করে কামিল মাদরাসা বলে দাবি করা। যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জান- াজানি হলে মাদরাসার ভাবমূর্তি ক্ষুণ হয়। এছাড়াও নানা অভিযোগ তাকে ঘিরে।
অতএব, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি স্বৈরাচার অধ্যক্ষ নুরুল আলম ফারুকীর পদত্যাগ এবং মাদরাসার পুনঃসংস্কার।
নিবেদক- সাধারণ শিক্ষার্থী, গারাংগিয়া ইসলামিয়া রব্বানী মহিলা মাদরাসা, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি থমতমে বিরাজ করছে। উক্ত বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ নূরুল আলম ফারুকীর সাথে বারবার সাক্ষাৎ যোগাযোগ চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব না হওয়ায় তাহার কোন বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।