
শৈলুমং মার্মা, রুমা, বান্দরবান : ৩ পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমা সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীকে শীর্ষ পদ থেকে বঞ্চিত রাখার প্রতিবাদে ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন হয়েছে।
২৬ জানুয়ারি রবিবার, সকালে খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সামনে মারমা জাগ্রত সমাজ এর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের স্পিরিট ধারণ করে পার্বত্য চট্টগ্রামেও জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে অংশ নিয়েছিল। বিগত সরকার পাহাড়ের জনগণকে বৈষম্য করেছিলেন। মনে করেছিলাম এবারে বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ একটি বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ জনগোষ্ঠী মারমা সম্প্রদায় আশাহত হয়েছে।
এই বিষয়ে আরও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষকদলের কমিটি বিলুপ্তির প্রতিবাদ হামলার প্রতিবাদে নাইক্ষ্যংছড়িতে আদিবাসী ছাত্র জনতার সভা দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ মারমা সম্প্রদায় স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসলেও যুগে যুগে বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হয়ে আসছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্ত নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্স, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে মারমা জাতিগোষ্ঠীকে বঞ্চিত ও উপেক্ষিত করা হয়েছে। কেবল মারমা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণই নয়, বরং পুরো পার্বত্য অঞ্চলের সামাজিক ভারসাম্য ও উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে দারুণভাবে ব্যাহত করা হয়েছে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৃহত্তর মারমা জনগোষ্ঠি গভীরভাবে আশাহত এবং মর্মাহত হয়েছে।
এসময় আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ৩ পার্বত্য জেলায় মারমা জনগোষ্ঠীর মধ্যে শীর্ষ পদে না বসালে বড় ধরণের কর্মসূচি গ্রহণের হুশিয়ারি দেন।