নিজস্ব প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির রামগড় পৌর এলাকার গর্জনতলী বাসিন্দা মাখন চন্দ্র নাথ (৫৪)কে তার ছেলে শুভ চন্দ্র নাথ (১৯) নিজ হাতে কোদালের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করেছে।
হত্যার ঘটনা চাপা দিতে নিহত বাবার গলায় রশি বেধে আত্মহত্যার নাটক সাজায় সে। এমনকি মাকে খুন করার ভয় দেখিয়ে আত্মহত্যার মিথ্যা তথ্য দিয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলাও দায়ের করায় শুভ।
এদিকে, হত্যাকান্ডের প্রায় ৪ মাস পর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে শুভ। আজ বুধবার রামগড় থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবাকে খুন করার কথা স্বীকার করার পর খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেরও স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি শুভ।
রামগড় থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন, গত ১৩ জুলাই রাতে নিজ বাড়িতে ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে শুভ কোদালের বাট দিয়ে বাবা মাখণ চন্দ্র নাথের মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনা ধামাচাপা দিতে সে গলায় রশি বেধে বাবার মরদেহ বাঁশের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে।
হত্যার কথা কাউকে না বলতে মাকেও খুন করার হুমকি দেয়। ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মাকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করতে বাধ্য করে সে।
পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মাখন চন্দ্র নাথের মৃত্যুর কারণ মাথায় রক্তক্ষরণ উল্লেখ থাকায় নিহতের ভাই রাখাল চন্দ্র নাথ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রামগড় থানায় একটি এজাহার দায়ের করে।
এজাহারের সূত্র ধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামী শুভ চন্দ্র নাথকে গেফতার করে।
রামগড় থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন বলেন, আসামি শুভ চন্দ্র নাথ বুধবার খাগড়াছড়ি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।আ