নিজস্ব প্রতিনিধি : কোনো অপরাধীকে রাজপথে, মাঠে-ময়দানে দেখতে চান না স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অপরাধীকে রাস্তায়, বাজারে, মাঠে, ময়দানে, রাজপথে দেখতে চাই না। প্রত্যেক অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে হবে, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে বলব।
১১ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের উপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ক’ শীর্ষক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সারাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অপতৎপরতাকারী ও তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ পরিচালিত হচ্ছে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘জয়েন্ট অপারেশন সেন্টারের’ মাধ্যমে সারা দেশের অভিযানের সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করা হবে। মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশ কমিশনার এবং জেলা পর্যায়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপার ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানের সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয় করবেন।
‘ডেভিল হান্ট’ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আদালতের বিচারক, সরকারপক্ষের আইনজীবী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এই অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য নিয়োজিত। এছাড়া সরকার ডিএমপি এলাকায় আটজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করেছেন অপরাধীদের সামারি ট্রায়ালের জন্য।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আইনজীবীদের আমি বলব, আপনারা আদালতে দায়েরকৃত প্রতিটি মামলার ধার্য তারিখে উপস্থিত থাকুন। কোনোভাবেই যেন কোনো সন্ত্রাসী যেন জামিন না পায়, সতর্ক থাকুন।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট, সন্ত্রাসী, মানুষদের বুকে গুলি করা হেলমেট বাহিনী, দুষ্কৃতকারী, উসকানিদাতা, জনগণের ভয়ভীতি প্রদর্শনকারী, দুর্নীতিবাজ গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে যাবে। আর তথ্যের সীমাবদ্ধতা কিংবা এজেন্সির ব্যর্থতার কারণে জামিন হয়ে পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে পড়বে এটা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।মা