মোঃ শফিকুল ইসলাম (রংপুর) বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান: কুড়িগ্রামে ৯টি উপজেলা ও ৩ টি পৌরসভায় শারদীয় দুর্গা উৎসবে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩১০২ জন সদস্য/সদস্যা পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
এর মধ্যে পুরুষ ১৫৫১ জন ও মহিলা ৯৭০ জন।
আজ ৮ অক্টোবর দুপুর থেকে কুড়িগ্রামের ৪৮৫টি পূজা মণ্ডপে ৩১০২ জন আনসার সদস্য/ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
কুড়িগ্রাম আনসার ও ভিডিপি জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, এ বছর জেলার নয় উপজেলা ও তিনটি পৌরসভায় ৪৮৫ টি পুজামন্ডপের মধ্যে কুড়িগ্রাম সদরে ৪৬৪ জন,নাগেশ্বরীতে ৫০০জন, ফুলবাড়ীতে ৪৩০জন, ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ১২৬ জন,উলিপুরে ৬৩২ জন চিলমারীতে ১৪৮জন, রৌমারীতে ৪৪ জন এবং চর রাজিবপুর উপজেলায় ৬ জন, তবে জেলার সবচেয়ে বড় রাজারহাট উপজেলায় সর্বাধিক ৭৫২জন আনসার সদস্য পূজামন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব মণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
এ জন্য জেলা আনসার ও ভিডিপি কুড়িগ্রাম জেলা কার্যালয়ের জেলা কমান্ড্যান্ট এস. এম. সাখাওয়াৎ হোসাইন আজ সকালে সকল সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সমাবেশ ও মতবিনিময়কালে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের উদ্দেশ্যে জেলা কমান্ড্যান্ট বলেন, আপনারা আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের স্থান থেকে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবেন। পূজা মন্ডপের ২৪ ঘন্টায় সেবা দেওয়া জন্য সদস্যদেরকে বলেন এবং আলো যেন মন্ডপে সর্বাক্ষনিক থাকে সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেন।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের দায়িত্বের উপর নির্ভর করছে উৎসবমুখর পরিবেশের প্রতিটি অংশ। এই উৎসবমুখর পরিবেশটি আরো আনন্দময় হবে এটাই আমি আশাবাদী।
উল্লেখ্য এ বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পূজামণ্ডপ কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক টিমেরও দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা রয়েছে। এসব ব্যবস্থাপনা সুনিশ্চিত করতে হবে।
পঞ্জিকা অনুযায়ী, আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী,১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী ও ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী পালিত হবে। মহানবমী পালিত হবে ১২ অক্টোবর এবং ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমী পালন শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে আনুষ্ঠানিকতা।