
অনলাইন ডেস্ক : পবিত্র ঈদুল আজহায় কারাগারে ভিআইপি বন্দিদের সঙ্গে ঈদ করবেন সাধারণ বন্দিরা। তাদের জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ আয়োজন। প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সাধারণ বন্দিদের যে খাবার পরিবেশন করা হবে ভিআইপি বন্দিরাও তা পাবেন।
গরুর গোশত, খাসির গোশতের সঙ্গে খাবারের মেনুতে রয়েছে পোলাও, পায়েস, সেমাই, মিষ্টি, পান-সুপারি, আলুর দম, মাংস ও রুই মাছ ইত্যাদি। জানা গেছে, ঈদের দিন সকালে কারাবন্দিদের মাঝে পরিবেশন করা হবে পায়েস, সেমাই ও মুড়ি।
এবার চট্টগ্রাম কারাগারে যেসব ‘ভিআইপি’ বন্দি রয়েছেন তারা হলেন- চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, আবু রেজা মুহাম্মদ নদভী এবং ফেনীর রহিম উল্লাহ। তারা সেলে রয়েছেন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক মামলায় নগর পুলিশের সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলাম ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি হিসেবে রয়েছেন।
কারা সূত্র জানায়, বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন ৫ হাজার ১০০ জন। ঈদের দিন সকাল ৮টার দিকে কারাগারের ভেতরে ঈদের নামাজ আদায় করবেন বন্দিরা। কারাগারের যমুনা, কর্ণফুলী, পদ্মা, মেঘনা, সাঙ্গু ও হালদা ভবন থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বন্দিরা এসে নামাজে অংশ নেবেন। প্রতিটি ভবনের সামনেই পৃথক জামাত হবে।
ঈদের দিন থেকে পরবর্তী ৩দিন বন্দিরা স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। প্রতিটি বন্দি ঈদের দিন কারাগারের নির্দিষ্ট ফোন থেকে ৫ মিনিট করে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগও পাবেন।
কারাগারে অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আগ্রাবাদের রাজুর পরিবারের সঙ্গে কথা হলে তারা কালবেলাকে জানান, ঈদের দিন তারা বাসা থেকে গরুর গোশত, পোলাও, পরোটা ইত্যাদি খাবার নিয়ে কারাফটকে যান। প্রতি ঈদে কারাকর্তৃপক্ষ বন্দিদের আপ্যায়নের জন্য সুযোগ দেন।
সূত্রে জানায়, ঈদের দিন দুপুরে বন্দিদের খেতে দেওয়া হবে গরুর মাংস, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য খাসির মাংস, মুরগির রোস্ট, সালাদ, মিষ্টি ও পান-সুপারি। রাতে সাদা ভাত, আলুর দম, রুই মাছ ও ভাজি। কিছু সময়ের জন্য বন্দিরা ঈদের আনন্দে ভাগ বসাতে পারবেন। ভেদাভেদ ভুলে সবাই একসঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করবেন।
এদিকে কোরবানিতে কারাগারে শিশুরাও ঈদ আনন্দ পাবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক ইকবাল হোসেন। কালবেলাকে তিনি বলেন, যাদের বয়স কয়েক মাস থেকে সাড়ে ৪ বছরের মধ্যে— এমন ৫০ শিশু কারাগারে রয়েছে মায়ের সঙ্গে। অপরাধী না হয়েও বন্দি এসব শিশুকে দেওয়া হয়েছে নতুন পোশাক। তবে ঈদ উপলক্ষে এবার কাউকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। তবে যাদের সাজার মেয়াদ ২০ বছরের বেশি কিংবা অসুস্থ বন্দিরা মুক্তির জন্য আবেদন করেছেন। যাচাই–বাছাই শেষে তাদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়া হতে পারে।পূ:প্র:সূ।