রাজধানীর ধানমণ্ডির কাকলি হাইস্কুল এণ্ড কলেজের অধ্যক্ষ দীন মোহাম্মদ খানের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা। তারা অধ্যক্ষককে আওয়ামী সন্ত্রাসী, নারী লিপ্সু, দুর্নীতিবাজ, অর্থ আত্মসাৎকারী আখ্যা দিয়ে বরখাস্ত ও দুর্নীতির দায়ে শাস্তি দাবি করেন।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘ধানমন্ডির কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকবৃন্দের’ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোরশেদা বেগম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে অধ্যক্ষ দীন মোহাম্মদ খানের বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগ জানানো হয়। এরমধ্যে অন্যতম- অধ্যক্ষ দীন মোহাম্মদ খান ২০২০ সালের পরবর্তী সময় থেকে এডহক কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন এবং নিজের ইচ্ছাধীন বিভিন্ন বিষয়ে সভাপতির মদদে একচটিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এডহক কমিটি গঠনের নিয়ম অনুযায়ী ধারা ৬৪ (৫ ও ৬) মতে, ২ বারের অধিক (৬ মাস মেয়াদি) গঠন করা যাবে না। কিন্তু তিনি বিধি ভঙ্গ করে একাধিকবার এডহক কমিটি গঠন করেছেন, প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রায় শূন্য উল্লেখ করে বলা হয়, প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা জমা আছে মাত্র ১১ লাখ। অফিসের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে এ খাতে প্রায় দেড় কোটি টাকা থাকার কথা। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটির কোনো আর্থিক মান দন্ডের বিচারে স্বচ্ছ অডিট রিপোর্ট নেই। পর্যাপ্ত আয় থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক-কর্মচারীরা সময় মতো বেতন পাচ্ছে না। বর্তমানে শুধুমাত্র টিউশন ফি কালেকশন বাবদ আদায়কৃত অর্থের ওপর শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন প্রাপ্তি নির্ভর করছে।
এছাড়াও অভিযোগে বলা হয়, তার প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষিকাসহ তিনজন স্ত্রী। অনেক শিক্ষিকা ও ছাত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছেন। তার মাস্টার্সের সার্টিফিকেট ভুয়া, এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষকদের কাছে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা নেয়া, রশিদ ছাড়া ফি আদায়, এফডিয়ারের মুনাফার টাকা আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠানের জমি বিক্রি, হিসেব না দেয়া, করোনাকালীন সময়ে অন্যদের বেতন না দিলেও নিজে ও আত্মীয়দের বেতন দেয়া, ২০১৮ সালে নির্বাচন দেখিয়ে ভুয়া রেজুলেশন তৈরি, বহিরাগত সন্ত্রীসীদের দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও হেনস্থার অভিযোগ করা হয়। এসব দুর্নীতির জন্য সাবেক দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারি ও আত্মীয় সেলিমা খাতুনের লোক বলে প্রভাব খাটাতেন বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির বাংলা বিভাগের প্রভাষক ফাতেমা আক্তার বলেন, আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খুবই শঙ্কিত, ভীত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তার বিরুদ্ধে আনা সকল তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাই। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দিবা শাখার কো-অর্ডিনেটর খাদবজা নূর লাবণ্য, ইংরেজী বিভাগের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক ইসরাত জেরিন, প্রভাতী শাখার কো-অর্ডিনেটর শাহিনা আক্তারসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।মা