উম্মে কুলসুম খন্দকার
এ কেমন রোগে আক্রান্ত আমি,
যেখানে কান্নাও আজ শব্দহীন,
হৃদয়ের ভেতর ভয়ে যচ্ছে ব্যাথার ঝর
যা বোঝার মতো নাই কোনো ডাক্তার কিংবা কবিরাজ।
সেই ব্যাথার আগুনে জ্বলছি অভিরত
হৃদয়ে হচ্ছে অপ্রকাশিত ক্ষত।
নেই কোনো ঔষধ ভালো হবে ক্ষত
নেই কোনো ডাক্তার কারন বোঝার মতো।
চোখে জল নেই, তবু বুক ভিজে যায়,
প্রতিটি নিঃশ্বাসে লুকিয়ে আছে হারানোর ভয়।
ঘুম আসে না, স্বপ্ন তবু দেখি —
একটা হাত ধরার, যা কোনোদিন ধরা যায় না।
সবাই পাশে, কিন্তু মনে হয় যেনো কেউ নেই,
কান পেতে শুনি — নিজেরই নিঃশব্দ চিৎকার।
কথা বললে হাসি, না বললে ভুলে যাই,
আমি যেন এক জীবন্ত মৃতের মতো—
চলছি, হাঁটছি, তবু ভিতরটা শূন্যতায় ভরা।
দিন যায়, রাত আসে,
আসে না শুধু জীবনের পরিবর্তন,
এই মন চায় একটু আলোর সন্ধ্যান
কিন্তু চারদিক কেবলই ঘন অন্ধকার,
যেখানে ভালোবাসা শুধু গল্প,
আর বেঁচে থাকা এক প্রকার শাস্তি।
এ কেমন রোগে আক্রান্ত আমি
যা ছুঁয়ে দেখে না কেউ,
অনুভব করার নেই কোনো আপনজন।
তবে কেনো জানি মনে হয়,
প্রতিদিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে
আমার একেকটি করে অংশ!