ঈদুল আজহা উপলক্ষে শতাধিক বন্দিকে মুক্তি দিল ওমানের সুলতান

অনলাইন ডেস্ক : ঈদুল আজহার আগে মানবিক মূল্যবোধের এক উজ্জ্বল উদাহরণ স্থাপন করলেন ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারিক। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে তিনি ৬৪৫ জন কারাবন্দিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তে শুধু দেশীয় নয়, বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিকও উপকৃত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন ) ওমানের সুলতানের দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক রাজকীয় বিবৃতিতে জানানো হয়, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এই ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এটি সুলতানের “মানবিক মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।” কারামুক্তদের মধ্যে বিদেশি কয়েদির সংখ্যাটি নির্দিষ্টভাবে না জানালেও বলা হয়েছে, তারা শিগগিরই নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং এজন্য সব ব্যয় বহন করবে রাষ্ট্র নিজে।

সুলতান হাইথাম বিন তারিক ২০২০ সালে ওমানের সিংহাসনে আসীন হন। ১৯৫৫ সালে জন্ম নেওয়া এই নেতা ওমানের বর্তমান সুলতান ও প্রধানমন্ত্রী – দুই পদেই দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতিতে আসার আগে তিনি ওমানের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার শাসনামলে ওমানের সমাজ ও রাষ্ট্রীয় নীতিতে মানবিকতা ও সহনশীলতা বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “ওমান সবসময় দয়া, ঐক্য এবং সামাজিক সংহতির ওপর জোর দিয়ে এসেছে। এই ক্ষমার সিদ্ধান্ত ঈদের আনন্দকে আরও বড় করে তুলবে মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েদি ও তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে।

সুলতান হাইথাম মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েদিদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে বলেন, “তোমাদের নতুন জীবন শুরু হোক শান্তি, সংযম এবং ভালোবাসার পথে।” একই সঙ্গে তিনি পরিবারগুলোকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান।

এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোকেও অনুপ্রাণিত করতে পারে। ঈদের মতো পবিত্র উপলক্ষে এমন মানবিক উদারতা শুধু আইনগত নয়, একটি রাষ্ট্রের মূল্যবোধ ও সহনুভূতির প্রকাশ হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এই সিদ্ধান্ত ওমানকে তুলে ধরেছে সহমর্মী ও শান্তিপ্রিয় এক রাষ্ট্র হিসেবে। আর সুলতান হাইথাম বিন তারিক হয়ে উঠেছেন মানবিক নেতৃত্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।ই:সূ।

মন্তব্য করুন