অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ রয়ে গেছে। প্রতিদিন বোমা, গুলি এবং খাদ্যের অভাবে সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলের হামলা চলছেই, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ অনাহারে মৃত্যুর মুখে পড়ছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) গাজা সিটিতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আল-রানতিসি ও এসটি জন হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। হাসপাতালগুলোতে সরাসরি বোমা হামলার কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। জাতিসংঘ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ হামলা গণহত্যার অংশ হিসেবে পরিকল্পিত। এ অবস্থায় গাজার দশ লাখ বাসিন্দা দক্ষিণের দিকে স্থানান্তরিত হচ্ছে, খাদ্য ও পানির অভাবে অনাহারে মৃত্যু বাড়ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত সোমবার ইসরায়েলের হামলায় এক দিনে ৬১ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২২০ জন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৩৪৪ জন এবং আহত ১ লাখ ৬৬ হাজার ৭৯৫ জন। গাজার তাল আল-হাওয়া উপকণ্ঠেও বিমান হামলা চালানো হয়েছে, যা ধোঁয়া ও ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করেছে।
ইতালিতে গাজার গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোম ও মিলান শহরে বিক্ষোভ চলাকালে রেল ও গণপরিবহন সেবা বাধাগ্রস্ত হয়। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে ‘শিশুহত্যা আত্মরক্ষা নয়’ এবং ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’ স্লোগান দেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া যথেষ্ট নয়। আরব-ব্রিটিশ আন্ডারস্ট্যান্ডিং কাউন্সিলের পরিচালক ক্রিস ডয়েল জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পাশাপাশি ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। নিষেধাজ্ঞা, আন্তর্জাতিক চাপ ও সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া গণহত্যা রোধ করা সম্ভব নয়।
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলেও ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় তিন শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। হামলার সময় একটি মোটরসাইকেল ও গাড়ি লক্ষ্য করা হয়েছিল, আহত হয়েছেন আরও দুজন। লেবাননের পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে তিন শিশুর বাবা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, নিহত পাঁচজনের কেউই মার্কিন নাগরিক নন। তথ্যসূত্র : ই