
নিজস্ব প্রতিনিধি : আগে বিচার; তারপর সংস্কার; পরে নির্বাচন। যারা অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে, ওই দল ও তাদের সঙ্গে যারা জড়িত সকলের বিচার হওয়া উচিৎ। আমরা সরকারকে বলবো আগে বিচার হবে, এর পর সংস্কার এর পরে নির্বাচন হতে হবে। যারা বিচার চায় না, যারা শুধু দ্রুত নির্বাচন চায়, সংস্কার চায় না। আপনারা বলেন আগের মতো যদি নির্বাচন হয় এই নির্বাচনের দরকার আছে? ওইগুলোতো নির্বাচনিই হয় নাই। ২০১৪ সালে হয়েছে বিনা ভোটের নির্বাচন, ২০১৮ দিনের ভোট রাতে হয়েছে আর! ২০২৪ সালে নিজেরা নিজেরা ভোট দিয়ে ডামি নির্বাচন করেছে। এই সময় তিনি দাবী করেন বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচন চায়, তবে যেনতেন নির্বাচন চায় না। এসময় তিনি আরও বলেন, আমার ভোট আমি দিবো, যাকে ইচ্ছে তাকে দিবো। কিন্তু (ফ্যাসিস্ট সরকারের) তাদের স্লোগান ছিলো তোমারটাও আমি দিবো। এভাবে বিগত তিন তিনটা নির্বানের পথ অতিক্রম করেছে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার।
এভাবে তারা ভোটকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এতএব ভোট ব্যবস্থা ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে জীবন্ত করতে হবে। মৃত গণতন্ত্র মৃত ভোট ব্যবস্থা দিয়ে দেশে নির্বাচন হলে দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন হবে না। সেই জন্য আমরা সরকারকে বলবো রি-ফরমেশনের আগে নির্বাচন হবে না। বিচাররের আগে নির্বাচন হবে না। এটা আমরা জোর গলায় বলতে চাই। দেশের মানুষ নির্বাচন চায় তবে যেতোতেনো নির্বাচন চায়না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মদিনার আদলে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। তিনি আরো বলেন, আমরা জানমাল দিয়ে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করে পরকালের মুক্তি নিশ্চিত করতে চাই। ভালো মানুষ দ্বারা সংবিধান সংশোধন করতে হবে, কারন এ সংবিধানে ইসলামের কোন কথা নেই। জাতীয় সংসদে কোরআনের আলো জ্বালাতে হবে। সুবিচারকে হত্যা করতে করতে গণহত্যা করেছে।
এ সময় তিনি কিশোরগঞ্জের ছয়টি সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের উপস্থিত সকলের মাঝে পরিচয় করিয়ে দেন।
শনিবার (৩১ মে) দুপুর ১১টায় কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
আয়োজিত সম্মেলনে অসংখ্য কর্মীর জমায়েত দেখা গেছে। ২১ বছর পর আজ ২১ বছর পর কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত সম্মেলনে খোলা ময়দানে প্রকাশ্যে লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত হতে দেখা গেছে। কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর এ কর্মী সম্মেলন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. সামিউল হক ফারুকী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সকার সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা নাজমুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ডা. কর্নেল (অব.) জেহাদ খান, জেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির অধ্যাপক মেৃৃাসাদ্দেক আলী ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের মজলিসে শুরা সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রোকন রেজা শেখ, জেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি শামসুল আলম সেলিম, জেলা শ্রমিকৃ কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি খালেদ হাসান জুম্মন, সদর জামায়াতে ইসলামী আমির কারী নজরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসান আল মামুনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
জামায়াত সূত্র জানায়, বিগত ২১ বছর আওয়ামী লীগের গুম-হত্যা ও নির্যাতনের কারণে কিশোরগঞ্জে দলটি প্রকাশ্যে কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারেনি। এ সময়ে গোপনেই সংগঠনের কাজ এগিয়ে নিতে হয়েছে। চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার বিতাড়িত হওয়ার পর দেশে এখন একটা স্থিতিশীল নিরাপদ পরিবেশ বিরাজ করছে।
২১ বছর পর কিশোরগঞ্জে জামায়াতের প্রকাশ্যে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকে জেলার ১৩টি উপজেলার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে মিছিল ভোর থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জেলার পুরাতন স্টেডিয়ামে জমায়েত হয়ে এ কর্মী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।ই