নিজস্ব প্রতিনিধি : আকবরশাহ থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কারুজ্জামানের সার্বিক নির্দেশনায়, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ছৈয়দ ওমরের নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ ফজলুর রহমান, এসআই (নিঃ) ইসমিট চাকমা, এসআই (নিঃ) মোস্তাফিজুর রহমান, এএসআই (নিঃ) আঃ সালাম, এএসআই (নিঃ) মোঃ হুমায়ুন কবির, এএসআই (নিঃ) জাকির হোসেন আকবরশাহ থানাধীন ১নং ঝিল সাকিনস্থ চিহ্নিত সন্ত্রাসী নুরে আলম প্রকাশ নুরুর বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে তাহার মালিকীয় ৩ কক্ষ বিশিষ্ট দক্ষিন দুয়ারী সেমিপাকা বসত ঘরে আজ ৩ এপ্রিল রাতে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। রশিদা বেগম(২৮) ২। রেহানা(২৫) ৩। মোঃ সোহেল হোসেন(৩০) ও ৪। মোঃ আল আমিন (২৫) দের গ্রেফতার করে। তাদের নিকট হতে ৫,৪৫০(পাঁচ হাজার চারশত পঞ্চাশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৪টি বাটন মোবাইল ও ১টি এন্ড্রোয়েড মোবাইল উদ্ধারপূর্বক এসআই (নিঃ) ফজলুর রহমান আজ ৩ এপ্রিল রাত ০১:৪৫ ঘটিকা সময় জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন। অপর আসামী রুবি আক্তার(৪০) সুকৌশলে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো আসামী রশিদা বেগম(২৮) ও রেহানা (২৫) তাহাদের পেটে ধারন করে কক্সবাজার টেকনাফ এলাকা হতে বহন করে ঘটনাস্থলে পলাতক আসামী রুবি বেগমসহ ধৃত আসামী মোঃ সোহেল হোসেন ও মোঃ আল আমিনকে গননা করে বুজিয়ে দেয়া সময় আটক। আসামী রশিদা বেগম(২৮) ও রেহানা (২৫) দ্বয় মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক। তারা টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করে। পলাতক আসামী রুবি আক্তার চট্টগ্রাম মহানগরীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী নুরে আলম প্রকাশ নুরুর সহোদর বোন। সে দীর্ঘদিন যাবত কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানা এলাকা হতে বাহক মারফত অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সস্তা দামে ক্রয় করে এনে তার স্বামী মোঃ সোহেল হোসেন (৩০) এবং তার প্রতিবেশী আল আমিন (২৫)’দ্বয়ের মাধ্যমে আকবরশাহ থানা এলাকা সহ চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারী দামে অবৈধ মাদকদ্রব্য বিক্রয়সহ ১নং ঝিল এলাকায় সুদীর্ঘকাল যাবত সে মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছে।
ইতিপূর্বে তাকে গ্রেফতারের নিমিত্তে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু তার সিন্ডিকেটের অগ্রিম সংবাদের কারনে ও দুর্গম পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় তাহাকে গ্রেফতার করা যায় নাই। আসামীদের বিরুদ্ধে আকবরশাহ থানার মামলা নং-০২, তারিখ- ০৩/০৫/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা- ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) সারনির ১০(গ)/৪১ রুজু করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় আজ ০৩ এপ্রিল বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।