অনলাইন জুয়া ও বেটিং দমনে দেশজুড়ে সিআইডির অভিযান

অনলাইন ডেস্ক : সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুযায়ী অনলাইন জুয়া এখন একটি শাস্তিযোগ্য সাইবার অপরাধ। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অনলাইন জুয়া ও বেটিংয়ের বিরুদ্ধে সারাদেশে জোরালো অভিযান শুরু করেছে।

এরইমধ্যে এই অপরাধে জড়িত ১ হাজারেরও বেশি মোবাইল ব্যাংকিং (এমএফএস) এজেন্টকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অনলাইনভিত্তিক জুয়ার এই লেনদেনে জড়িত থাকার প্রমাণসহ সিআইডি এক হাজারের বেশি এমএফএস এজেন্টকে সনাক্ত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিল ও আর্থিক জরিমানার লক্ষ্যে একটি তালিকা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

তারা জানান, অনলাইন জুয়া বর্তমানে একটি ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি। এটি মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা সহজে অর্থ উপার্জনের আশায় জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে।

এর ফলে অনেক মানুষ আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে, জড়িয়ে পড়ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, পারিবারিক সহিংসতা এমনকি আত্মহত্যার মতো মর্মান্তিক ঘটনার সাথেও।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর ২০ নম্বর ধারা অনুযায়ী অনলাইন জুয়া খেলা, জুয়া সংশ্লিষ্ট অ্যাপ বা পোর্টাল তৈরি ও প্রচারণা চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই অপরাধে ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডই প্রযোজ্য হতে পারে।

এছাড়াও ওই অধ্যাদেশের ২১ ও ২২ ধারা অনুযায়ী জুয়া সংক্রান্ত লেনদেন, প্রতারণা বা জালিয়াতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সিআইডি জনগণকে অনলাইন জুয়া, বেটিং বা এ ধরনের যেকোনো কার্যকলাপে অংশগ্রহণ না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।

সিআইডির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, সন্দেহজনক কোনো অ্যাপ, ওয়েবসাইট কিংবা মোবাইল নম্বর সম্পর্কে তথ্য থাকলে তা সাইবার পুলিশ সেন্টারে যোগাযোগ করে জানাতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।ই

মন্তব্য করুন