নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি ছোড়া সেই যুবলীগ কর্মী তৌহিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদ (৩২)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরার কামালনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। আন্দোলনে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও-বহদ্দারহাট এলাকায় অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করতে দেখা যায় তৌহিদকে। ছাত্রদের ওপর একাই ২৮ রাউন্ড গুলি ছোড়ে সে। এ কাজের জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরের বন্ধু তাকে ৫ হাজার টাকা দেয়। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপপুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) রইছ উদ্দিন।
গ্রেফতার তৌহিদ চান্দগাঁওয়ের শমশেরপাড়া এলাকার সেকান্দরের ছেলে। তিনি চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হকের অনুসারী হিসাবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ৫টি হত্যাসহ ১২টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে ডিসি রইছ বলেন, তৌহিদ ১জন পেশাদার সন্ত্রাসী। ৪ আগস্ট নগরের চান্দগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করার কথা স্বীকার করেছে সে। ওইদিন সে একাই ২৮ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তার ব্যবহার করা ওই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করতে অভিযান চলমান আছে। আসামি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ‘তার ব্যবহার করা অস্ত্রটি পাকিস্তানি শুটারগান এবং তার একাধিক অস্ত্র রয়েছে। যেগুলো উদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। তার বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের ১২টি মামলা রয়েছে। সে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। পুলিশ তার সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।
যুগান্তরকে তৌহিদ জানায়, চান্দগাঁও এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলরের বন্ধু মহিউদ্দিনের নির্দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করেছিলাম। এ কাজের জন্য মহিউদ্দিন আমাকে ৫ হাজার টাকা দিয়েছিল। টাকার লোভে আমি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ ও চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।যু
