হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া

অনলাইন ডেস্ক : মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আজ বাসায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানান, বিকাল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশান-২ নম্বরের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন।

এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে খালেদা জিয়াকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মধ্যরাতে রাজধানীর বসুন্ধরায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

পরদিন বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন গত সাড়ে চার বছর ধরে বিভিন্ন সময় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, নিচ্ছেন। আমরা তাকে ২১ আগস্ট রিলিজড করে বাসায় নিয়ে এসেছিলাম। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে আবার তাকে ভর্তি করাতে হয়।

খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে কেন নেওয়া হচ্ছে না, এর ব্যাখ্যা দিয়ে সেদিন অধ্যাপক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘একজনকে বাইরে নিতে হলে শারীরিক সুস্থতা প্রয়োজন। প্লেনে উঠতে হলে নেগেটিভ প্রেসার সহ্য করার মতো সুস্থতা থাকতে হয়। ফ্লাই করার জন্য নেগেটিভ প্রেসার আছে সেটা কতটুকু? ল্যান্ড করার সময়ে কতটুকু তিনি সহ্য করতে পারবেন… সেটি গল্পের বিষয় না, সেটি অ্যাকাডেমিক, প্রফেশনাল ও সায়েন্টিফিক বিষয়। মেডিক্যাল বোর্ড সেই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে দেশি-বিদেশি সদস্যরা আলোচনা করছেন। শারীরিকভাবে একটু সুস্থ হলেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে একটা উন্নত সেন্টারে ফলোআপের জন্য।

কেন উন্নত সেন্টারে নেওয়া জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার কিছু রোগ সৃষ্টি হয়েছে, যেগুলো সত্যিকার অর্থে বাইরের আধুনিক সেন্টারে নিয়ে দেখানো ছাড়া এবং তাদের (বিশেষজ্ঞ ডাক্তার) মতামত নেওয়া ছাড়া আর কোনও গত্যন্তর নাই।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার তাকে জেলে নেওয়ার পর… একাকিত্ব, চিকিৎসা না করানো এবং তাকে আস্তে আস্তে সংকটাপন্ন অবস্থায় রেখে দেওয়া বিগত সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অংশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে যে চিকিৎসা হওয়া উচিত ছিল, তার কোনোকিছুই সঠিকভাবে হয় নাই। এ জন্য তার শারীরিক অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কয়েকদিন পরপরই হাসপাতালে নিতে হচ্ছে।ই

মন্তব্য করুন