
নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেছেন, স্বৈরাচারের দোসররা এখনো বিভিন্ন জায়গায় ওৎ পেতে আছে, তারা তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের নীলনকশা এখনো একে চলছে, সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে এবং বিপ্লবী ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত এই স্বাধীনতা ও বিপ্লবকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রক্ষা করতে হবে।
৩১শে আগস্ট শনিবার সকালে লোহাগাড়া উপজেলার মডার্ন কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে চলা সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, ১৬টি বছর এই দেশের মানুষ নির্যাতিত ছিলো, নিপিড়ীত ছিলো, বঞ্চিত ছিলো, নিগৃহীত ছিলো। ১৬টি বছর এই দেশের মানুষ একটি কারাগারে বসবাস করেছে, ছিলোনা কোন ধরনের স্বাধীনতা, ছিলোনা কোন মানুষের অধিকার, ছিলোনা ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার ও নিরাপত্তা। সমাজের সকল স্তরে গুম, খুন, রাহাজানি, নির্যাতন, চালানো হয়েছে, সেই ইতিহাসগুলো এই দেশের মানুষ কখনো ভুলতে পারবেনা। নির্যাতনের মাত্রা এত বেশি বেড়ে গিয়েছিল যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সেই দমন-পীড়ন চালিয়েছে, পাখির মতো গুলি করে হাজার হাজার মানুষ হত্যা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু এই দেশের স্বাধীনতাকামী মুক্তিকামী ছাত্র জনতাকে ঠেকাতে পারেনি, অবশেষে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য করেছে ছাত্র-জনতা।
যুব সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারী বলেন, ছাত্রদের যৌক্তিক দাবী মেনে না নিয়ে খুনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্রদের উপর আনসার, পুলিশ ও বিজিবির মাধ্যমে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। খুনি হাসিনা মনে করেছিলো পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার পর, হেফাজতে ইসলামের উলামায়ে কেরামদের হত্যার পরে অতীতে যেভাবে পার পেয়ে গেছে ছাত্রদেরও সেভাবে হত্যা করে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু সন্তান হারা পিতামাতা, ভাই হারা বোন, ছাত্র-শিক্ষক সহ সর্বস্তরের স্বাধীনতাকামী মানুষ রাস্তায় নেমে এসে সেই স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে।
যুব সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবু নাসের।
যুবসম্মেলনে সূরা হা- মীম আস্ সাজদা থেকে দারসুল কুরআন পেশ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দক্ষিণ জেলার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডঃ সাবের আহমদ।
লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ মহিউদ্দীন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামী লোহাগাড়া উপজেলা আমীর অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী, জামায়াতে ইসলামী লোহাগাড়া উপজেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল কালাম, লোহাগাড়া উপজেলার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের,
যুব সম্মেলনের উদ্বোধন করেন লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন সাংগঠনিক ও যুব সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন আমীর অধ্যাপক জহির মুহাম্মদ শামসুদ্দিন।
যুব সম্মেলন শেষে মুনাজাত পরিচালনা করেন লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা হেলাল উদ্দীন।
যুব সম্মেলন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের যুবক ভাইয়েরা উপস্থিত ছিলেন এবং জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।আ