সৈকতে নারীদের হেনস্থার ভাইরাল ভিডিও, সেই ফারুকুল ইসলাম গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি : কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে নারীদের হয়রানির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এই হয়রানির সূত্রপাত লাঠি হাতে থাকা যে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ভিডিও দেখে জড়িতের পরিচয় শনাক্ত করার পর পুলিশ জানিয়েছে, তার নাম ফারুকুল ইসলাম এবং তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া।

শুক্রবার সমুদ্র সৈকতে নারীদের হেনস্থা করার এমন ৩টি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনার ঝড় তুলেছেন নেটিজেনরা। এসব ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা।

ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা যায়, একদল উৎসাহী জনতা এক নারীকে কান ধরিয়ে ওঠ-বসা করাচ্ছে। আর তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কাঠের তক্তা হাতে ফারুকুল ইসলাম।

ভিডিওর শুরুতে দেখা যায়, ফারুকুল ওই নারীর মুখের সামনে কাঠের তক্তা তুলে নানা ধরনের প্রশ্ন করছেন, তার বাড়ি কোথায়, বাড়ির নম্বর আছে কিনা।

এ সময় তিনি ধমকের স্বরে বারবার মেয়েটিকে তার মাস্ক খুলতে বলেন, “চিনস নাই আমারে? খুল এইটা!” পরে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক নারী মেয়েটির মুখ থেকে জোর করে মাস্ক টেনে খুলে ফেলেন। একপর্যায়ে লাঠির আঘাত থেকে রক্ষা পেতে ভুক্তভোগী ওই নারী কান ধরে ওঠবস করতে বাধ্য হন। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা অনেকেই সৈকতের পাশে হয়রানির এই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করছিলেন। শুধু তাই নয়, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো তার কান ধরে ওঠ-বস গণনাও করছিলেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও দুইটি নারী বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্তের ফেসবুক পেইজ থেকে এসব ভিডিও এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট স্ট্যাটাস পোস্ট করতে দেখা যায়। তার প্রোফাইল দেখে ধারণা করা হচ্ছে, ভিডিওগুলো ১১ই সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি-গাল থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় ধারণ করা হয়েছে।

এমন আরো ভিডিও থাকতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এই ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ার পরপরই ফেসবুকে শুরু হয় নিন্দার ঝড়।

একদিকে অনেকে যেমন এই বিকৃত ও বেআইনি ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্যদিকে অনেকে নারীদের সাথে এমন অসদাচরণের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।

এইচ এ পলি নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এর আসল পরিচয় বের করে আইনের আওতায় আনা উচিত। সাথে সাথে যারা নোংরামির জড়িত তাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত।

মহিউদ্দিন নামে ১জন ফেসবুকে লিখেছেন, ছেলেটা অতিরিক্ত করেছিল। অতিরিক্ত কোনোকিছু ভালো না।

নাজমুল ইসলাম নামে ১জন ফেসবুকে লিখেছেন, তাকে সঠিক বিচারের আওতায় আনা হোক।
সে কক্সবাজার পর্যটকের জন্য ভয়ংকর।ই

মন্তব্য করুন