সিজনাল ভিসায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইতালি।
1 min read
সিজনাল ভিসায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইতালি। ইতালি দীর্ঘ ৮ বছর পর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিজনাল ভিসায়। কিন্ত এই তালিকায় বাংলাদেশ সহ আরও ২৪টি দেশের নাম রয়েছে। অক্টোবর মাসের ১৩ তারিখ থেকে শুরু করে এই বছর ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত এই সিজনাল ভিসার আবেদন করা যাবে বলে জানিয়েছেন ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
গতকাল সোমবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সব তথ্য জানানো হয়। আরো জানা যায় যে করোনা পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী রাখতে দেশটির বিভিন্ন খাতের জন্য বিদেশ থেকে ৩০ হাজার ৮৫০ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হবে। এদের মধ্যে ১২ হাজার ৮৫০ জন শ্রমিককে স্থায়ীভাবে এবং ১৮ হাজার শ্রমিককে খন্ডকালীন মেয়াদে দেশটিতে কাজ করার সুযোগ পাবে।
তবে খন্ডকালীন ভিসায় এস চুক্তি অনুযায়ী দেশে ফেরত না যাওয়া সহ নানা কেলেঙ্কারিতে ২০১২ সাল থেকে কালো তালিকা
ভুক্ত ছিল বাংলাদেশ। পরে এই বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে ইতালির দফায় দফায় কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘ ৮ বছর
পর কালো তালিকা থেকে বাদ পড়ে বাংলাদেশ এর নাম। কিন্ত এ তালিকায় বাংলাদেশ এর সাথে আরও আছে আলবানিয়া,
আলজেরিয়া, ভারত, বসনিয়া, ফিলিপাইন, মিশর, কোরিয়া, ইথোপিয়া, শ্রীলঙ্কা, সুদান, তিউনিশিয়া, মন্তেনেগ্রো, পাকিস্তান,
মাচেদোনিয়া, সেনেগাল, সার্ভিয়া গাম্বিয়া, ঘানা, মলদোভা, মরক্কো, জাপান, মালি, কসভো, , ও ইউক্রেনের নাম।
এ বছরেও যেন পুরনো কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে নজর রাখার অনুরোধ জানিয়েছে
ইতালিস্থ বাংঙ্গালী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা। তারা মনে করেছেন যে বাংলাদেশ এর সাথে ইতালির কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো
হওয়ায় ৮ বছর পর আবারো ইতালিতে বাংলাদেশীদের বৈধভাবে যাওয়ার সুযোগ হয়ে যাচ্ছে। তবে যদি বাংলাদেশীরা সিজনাল
ভিসায় দেশটিতে এসে চুক্তি অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হলে ফিরে না যায় তাহলে পরবর্তীতে আবারো কালো তালিকার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বাংলাদেশ।
সিজনাল ভিসায় বাংলাদেশ
অভিবাসন বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন পূর্বে বাংলাদেশীরা সিজনাল ভিসায় ইতালি এসে ৯৮ শতাংশ বাঙ্গালী শ্রমিক চুক্তি
অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হবার পরে ফিরে না যাওয়ায় ২০১২ সাল থেকে সিজনাল ভিসার গেজেটে কালো তালিকাভুক্ত হয়
বাংলাদেশ। তবে দীর্ঘ ৮ বছর পর এবছর কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয় বাংলাদেশের নাম। তাই এ বছরেও যেন পূর্বে ঘটনা
নতুন করে যেন না ঘটে সে জন্য বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালকে এই বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে হবে। এমন ঘটনার
আবারো ঘটলে ইতালি সরকার আবারো কঠোর হতে পারে বাংলাদেশের জন্য।
তবে এ ঘটনার জন্য অবশ্যই বাংলাদেশ এর শ্রম দালালদের দোষী করেন অভিজ্ঞরা। তারা বলছেন, এসব সিজনাল ভিসায়
একজন কর্মীর ইতালির যেতে অল্পকিছু টাকা লাগলেও মাঝখানের শ্রম দালালরা এই সব সিজনাল ভিসা অনেক বেশি দামে
বিক্রিয় করে শ্রমিকদের কাছে। তাই এসব শ্রমিকেরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভিসার মূল্যের সমপরিমান টাকা উঠাতে না পেরে
তারা দেশটিতে অবৈধভাবে থেকে যায়। তাই সরকারের এসব দালালদের ধরে শাস্তির আওতায় আনা।
সিজনাল ভিসায় একজন কর্মী ইতালিতে নয় মাস বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ পায়। পরে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে
তাকে নিজ দেশে ফেরত আসতে হয়। পরবর্তী বছরেও সিজনাল ভিসায় পূর্বে শ্রমিকরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইতালিতে যাওয়ার
সুযোগ পায়। এভাবে তিনবার যাবার পর তারা সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি পায়।