সিআইডিকে তদন্ত : আইনগত সহযোগীতা পাওয়ার জন্য আবেদন।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী একজন সংবাদকর্মী হই। আমি চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানাধীন ১৬ সাতকানিয়া ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ডের বারদোনা গ্রামের খিতামুল্লা পাড়ার মৃত আব্দুল মাবুদ ও মমতাজ বেগমের ছেলে। দীর্ঘ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় কাজ করে আসছি। পেশার পাশাপাশী পরিবার নিয়ে অর্থনৈতিক সচ্ছল ভাবে চলার জন্য আমার মা ও নানার সম্পূর্ণ প্রাপ্ত সত্ত দানমুলে পাওয়া জায়গার একাংশের উপর ঘরবাড়ী নির্মান করি। বাকী জায়গার উপর দোকানঘর নির্মান অবশিষ্ট জায়গায় চাষ করে নিজেই পরিচালনা করি। গত ২০২০সাল থেকে আমার মামি আরেফা আমার অর্থবিত্ত ও সম্পদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার জায়গা দখলের পায়তারা করে আসছিল। আমার উক্ত জায়গা দখল করে আত্নসাৎ করার জন্য এলাকার অসাধু লোকজন নিয়ে চাঁদা দাবিসহ নানামুখি ষড়যন্ত্র করে। উক্ত বিষয়ে আরেফাগং এর বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়ে সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলা করি, যার নং- ৪১/২০২২ইং। এরপর মামলা থাকা সত্বেও আমার জায়গা জোরপূর্বক দখল করতে এলাকার ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি তালাবদ্ধ করে বন্ধ করে। এরপর আমার বাড়ি-ঘরে হামলা চালায়, এরপরও বিবাদীগণ আমার উপর দফায়-দফায় হামলা করলে চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করি, যার নং- ৩০৮/২০২২ইং, ৩৬৪/২০২২ইং, ৩৮৮/২০২২ইং। এরপরও সফল না হওয়ায় এক পর্যায়ে তার মেয়ে তছলিমাকে দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। অপরদিকে আরেফাগং, আমার থেকে ক্রয়মুলে মালিক আমার পার্শবর্তী চম্পাগং কে জড়িয়ে জঘন্য মিথ্যাচার, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কথাবার্তা ও অপপ্রচার করে আমাকে ও চম্পাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে চাঁদা আদায় করার চেষ্টা করে। যেসব মিথ্যাচারের সাথে সত্যের লেশমাত্র নেই। আরেফাগংদের কার্যকলাপে প্রতিবেশী চম্পা আমাকে দুষারুপ করে এবং তার সাথে আমার জায়গা জমি ও ঘর-বাড়ির প্রাপ্ত লেন দেন অসমাপ্ত থেকে যায়। পরে আমার বিবাদীদের হামলা মামলার ভয়ে আমি এলাকার বাইরে থাকলে চাঁদাবাজ দলদের দিয়ে উক্ত জায়গা বাড়ি দখল করে। আমার মূল প্রতিপক্ষ আরেফাগং উক্ত চম্পাকে হামলা চালায়। উক্ত সুযোগে সৎ ব্যবহার করে চম্পা আমার প্রাপ্য টাকা না দেয়ার আশ্রয় নেন এবং আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এ নিয়ে চম্পার সাথে আমার বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। এব্যাপারে আমি বাদী হয়ে চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করি। যার নং-৫০২, তাং-২৩/০৯/২০২২ ইং, উক্ত মামলা দায়ের করায় চম্পা আক্তার গত ৮ অক্টোবর ২০২২ ইং আমাকে ফুটন্ত গরম তৈল নিক্ষেপ করে আমার শরীরের ডান বাহু জলসে দেয়। এই ঘটনাতে আমি বাদী হয়ে চম্পার বিরুদ্ধে মাননীয় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করি। যার নং- ৫৩২, তাং-১৬/১০/ ২০২২ ইং, এরপর গত ২৬ অক্টোবর ২০২২ ইং আমার নিজ বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিরাপত্তার জন্য লাগানো ৪টি সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে। যাতে তাদের পরিকল্পনার রোড ম্যাপ মোতাবেক মিথ্যা সাজানো ঘটনাগুলি ক্যামেরায় ধারন না হয়। উক্ত ঘটনায়ও আমি বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি জিডি করি। যার নং-১৩৪১/২০২২ ইং, বর্তমান উক্ত জিডিটির মামলা নং হচ্ছে- ৪৫২/ ২০২৩ ইং। প্রতিবেদন মাননীয় আদালতে প্রেরণ করলে মাননীয় বিচারক আসামী চম্পার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। দীর্ঘ ১ মাস পলাতক থাকার পর, গত ২২ মে ২০২৩ ইং চম্পা আক্তার আদালতে জামিন চাইলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করে। এতে চম্পা ১৫ দিন কারাভোগ করার পর জামিনে বের হয়। বর্তমানে মামলাগুলি বিচারাধীন আছে। জামিনে বের হওয়ার পর থেকে চম্পা আমাকে ফাঁসানোর জন্য এবং এলাকা ছাড়া করার জন্য নানা অপকর্ম করে। আমি উক্ত অপকর্মের সংবাদ ধারাবাহিকভাবে পত্রিকায় তুলে ধরে প্রকাশ করি। এতেও ক্ষিপ্ত হয়ে চম্পা আমাকে ফাঁসানোর জন্য তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টার অভিযোগ তুলে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এদিকে আরেফা ও চম্পাগং আমাকে উচ্ছেদ করে আমার জায়গা সম্পদ ও পাওনা টাকা আত্নসাৎ করতে তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। আমাকে ফাঁসার জন্য তারা আমার বিবাদী তছলিমা ও চম্পা ২ মহিলা পৃথক পৃথক আমার বিরুদ্ধে নারীও শিশু নির্যাতন আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এদিকে গত ৭ আগষ্ট আরেফা ও চম্পার ভাড়াটিয়া অন্যান্য আসামীরা আমার বাড়ি ঘরে হামলা, লুটপাট, চুরি ও আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য অপহরণ করে। এতে আমিসহ ৩ জন আহত হই, থানা পুলিশের সহযোগিতায় প্রাণে রক্ষা পায় আমি। সে ব্যাপারেও আরেকটি মামলা করি, ৪১৬, তাং- ১৪/০৮/২০২৩ইং। বর্তমানে মামলাটি সিআইডির তদন্তাধীন। এখন তারা আক্রোসে আমাকে বিভিন্ন প্রকার হয়রানি ও মামলায় জড়িয়ে আমার জীবনকে অতিষ্ঠ করার চেষ্টা করছে। আমাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বাড়ি ঘর ছেড়ে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন অন্যত্র মানবেতর জীবন যাপন করতেছি। উল্লেখিত বিবাদীগণ আমার বাড়ির সম্পূর্ণ জিনিসপত্রাদি নেয়ার পরও এমনকি বাড়ির দরজা, জানালা ও গ্রীল নিয়ে নেয়।এব্যাপারে থানায় কয়েকটি লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন মালামাল উদ্ধার বা ব্যবস্থা করেনি। কোন উপায়ান্তর না পেয়ে এবিষয়ে আপনার সদয় সহযোগিতা ও আইনগত সহযোগীতা কামনা করছি।

মন্তব্য করুন