
খবর ডেস্ক :
দেশের থানা ও আদালতের মালখানায় অরক্ষিত অবস্থায় কী পরিমাণ আলামত পড়ে আছে সেই তথ্য জানাতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো: আতাবুল্লার ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ২ মাসের মধ্যে এ বিষয়ক প্রতিবেদন দাখিল করতে আইজিপিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রুলের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির। সরকারপক্ষে রুলের শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আদেশের বিষয়ে অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, সারাদেশে থানায় ও আদালতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মামলার আলামতের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে ২ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য আইজিপিকে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় আইনানুগ পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, আইনি বিধান অনুসারে জব্দ করা মালামাল ও যানবাহন সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। কেননা, ঢাকাসহ দেশের সব আদালত ও থানা এলাকায় জব্দ করা মালামাল বছরের পর বছর পড়ে থাকতে দেখা যায়। ফলে এসব মালামাল ও যানবাহন রাষ্ট্র ও মালিকের কাজে আসে না।
তিনি বলেন, জব্দ করা মালামাল এভাবে বছরের পর বছর পড়ে থাকায় পরে সেটা রাষ্ট্রেরও কাজে লাগে না, মালিকেরও কাজে লাগে না। আমরা দেখেছি, জব্দ করা মালামালের মধ্যে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র আছে। পুরো বিষয়টি নিয়েই একটি ব্যবস্থাপনা চেয়ে রিট করেছি।
এর আগে জব্দ করা মালামাল ও যানবাহন থানা ও মালখানায় কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়, তা জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পুলিশের মহাপরিদর্শককে এ বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট বিচারপতি মো: মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি কাজী মো: ইজারুল হক আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
এর আগে জব্দ করা মালামাল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে পাঁচ আইনজীবী ২৮ আগস্ট রিট করেন। আইনজীবীরা হলেন, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, মো: মুজাহেদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও ইমরুল কায়েস।
রুলে মালখানা ও থানায় অনিরাপদভাবে রাখা জব্দ মালামাল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং জব্দ করা মালামাল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-জানতে চাওয়া হয়। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।