
খবর ডেস্ক : চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার গিয়াস উদ্দিন নামে এক সাংবাদিককে তার দলিল ভুক্ত ও দখলিয় ভিটা-বাড়ি ও দোকান থেকে উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠে। স্থানীয় দালাল, প্রতারক, বিচার ব্যবসায়ি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দেয়া ও তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় তাকে উচ্ছেদ করা হয়। সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন বারদোনা এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের ১ জন স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। তিনি বিগত দিনে রেজি : নং- ১৮৮,মাসিক সাতকানিয়া-লোহাগাড়া বার্তা, সাপ্তাহিক পূর্ববাংলা রেজি-নং- চ-১৪৭, সাপ্তাহিক আবেদন রেজি : নং- চ-১৯১, জাতীয় সাপ্তাহিক বাংলার স্বপ্ন রেজি: নং- ঢা:জে:প্রশাসক- ২১২, পাক্ষিক মেহেদী রেজি: নং-চ- ৩০৫, দৈনিক মুক্ত কন্ঠ পত্রিকায় নিজস্ব প্রতিনিধি ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে সাপ্তাহিক আবেদন, দৈনিক মেহেদী ও জাতীয় দৈনিক একুশের বানী পত্রিকায় প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করে আসছে।
চাঁদাবাজরা পুড়ে দেয়ার পূর্বে,সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিনের মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আত্নসাৎ কৌশল। ফাইল ছবি।
এলাকায় গিয়াস উদ্দিনের জায়গা-জমি ও মূল্যবান মার্কেট রহিয়াছে। উক্ত জায়গা-জমি ও মার্কেটটি নজরে পড়ে এলাকার কিছু অসাধু চাঁদাবাজদের। তাদের নিকট একেরপর এক হামলার শিকার হন সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবার সদস্যরা। হামলাকারীদের প্রতিনিয়ত হুমকি ধমকি ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে অবশেষে ঘর ছাড়া হয়ে প্রাণে বাঁচতে প্রশাসনের দ্বারেদ্বারে ঘুরছে ভুক্তভোগী সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন।
এলাকার চাঁদাবাজরা :
গিয়াস উদ্দিন বলেন, চাঁদাবাজদেরকে চাঁদা না দেয়ায় সম্প্রতি আমার দোকান গৃহসহ অন্যান্য খতিয়ানভূক্ত জায়গা দখল করার কূমানসে স্থানীয় প্রভাবশালী ছফুর ড্রাইভার (মেম্বার), মো: আলি, নাজিম উদ্দীন ড্রাইবার,
গরু নাছির উদ্দিন, হারুন ড্রাইভার, ইউনুস, জসিম উদ্দিন, লুৎফর রহমান, সোলাইমান ড্রাইভার, আইয়ুব, আরেফা বেগম, চম্পা, রোজিনা আক্তার, তছলিমা, জান্নাতুল ফেরদৌস, শাহাদাত হোসেন রিজভী, মাঈন উদ্দিন রিয়াজ এবং গোজা গিয়াস উদ্দিনসহ সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু চক্র সদস্যরা আমার কাছ থেকে চাঁদাদাবি করে। এরপর তাদের দাবী অনুযায়ী চাঁদা দিতে না পারায় আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের উপর জুলুম-নির্যাতন ও প্রকাশ্য হামলা চালিয়ে মার্কেট ও নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোর পূর্বক বন্ধ করিয়া দেয়। এসময় আমিসহ আমার পরিবারের ৩জন সদস্যকে রক্তাক্ত গুরুতর আঘাত করেছে এবং আমার মার্কেটের দোকানে ভাংচুরসহ মালামাল লুট করে নিয়ে নেয় তারা। দোকান গৃহ এবং বাসাবাড়ির দরজা, জানালা পর্যন্ত লুট করে নিয়ে গেছে ও নিয়ে যাচ্ছে তারা। এছাড়াও আমার মাত্রিক সুত্রে ও খরিদা সম্পত্তির উপর শাহ মজিদিয়া মার্কেটস্থ আমার নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত গিয়াস উদ্দিন মার্কেট নামের মার্কেটের গিয়াস ডিপার্টমেন্টাল নামক আমার একটি কাপড়ের দোকানসহ কমপক্ষে ৬টি দোকান গৃহ ও বাসাঘর গত বছরের ২৪ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সুকৌশলে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। এতে আমার কমপক্ষে ৬০-৭০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি করছে ওই চক্র সদস্যরা।
সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলা ও পবিত্র নিষেধাজ্ঞার আদেশ থাকলেও উক্ত আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তারা হামলা সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে বাদীকে।
হামলায় আহত হাফেজ ফারুখ আহমদ (৭৫)
হামলায় আহত মো : গিয়াস উদ্দিন :
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজি ও হামলার অভিযোগ করে মামলা করেছি। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ ও মামলা করেছি, ওই মামলায় আসামীদের কয়েকজনকে জেল হাজতে পাঠাইছিল আদালত। কিন্তু জেল হাজত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিচ্ছে। অপরদিকে, চম্পা নামক আসামীর কাছ থেকে আমি পাওয়ানা টাকা চাওয়াতে আমার ওই পাওয়ানা টাকা পরিশোধ না করার কূমানসে অপরাপর আসামীদের যোগসাজশে আমি ও আমার পরিবারের উপর বেশ কয়েকবার হামলা করেছে। আমার বাড়ির নিরাপত্তার জন্য বসানো ৩টি সিসি ক্যামেরা ভাংচুর ও নিয়ে নেয়। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারধর করে আমাকে রক্তাক্ত জখম করেছিলো, এমনকি আমার বিরুদ্ধে উল্টো ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করে যাচ্ছে।
নিরাপত্তার সিসি ক্যামেরা ভাংচুর, বাড়িতে ভাংচুর, বাড়ির গ্রীল ও দরজা-জানালা ও বাহিরের এই গ্রীলটিও নিয়ে নেয়।
গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির দৃশ্য।
এদিকে ২৫/৩০ জনের ১টি দল গত ৭ আগষ্ট বাড়ি ঘরে হামলা, ৮টি সিসি ক্যামেরা, মনিটর, রেকর্ড মেশিনসহ যাবতীয় সরঞ্জাম, জিনিসপত্রাদি লুট, চুরি, ক্যাশ টাকাসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়-ক্ষতি ও নিয়ে নেয়। এরপর হত্যার উদ্দেশ্য গিয়াস উদ্দিনকে অপহরণ করে মারধর করে। পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় প্রাণে রক্ষা পাই গিয়াস। উক্ত বিষয়ে মাননীয় আদালতে মামলা করলে মাননীয় বিচারক মামলাটি সিআইডিকে তদন্ত দেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিআইডি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান এবং ঘটনা তদন্ত করেন। বিবাদীগন যেই কোনো সময় আমি ও আমার বা সাক্ষী বা পরিবারের সদস্যদের উপর আবারও হামলাসহ হত্যা করতে পারে। এখন আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তাহীন ভাবে নিজ বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যদিকে মানবেতর জীবন যাপন করতেছি। এখন তারা আমি বাদী ও আমার মামলার সাক্ষীদেরকে সাক্ষী না দেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি-দমকি দিচ্ছে। বর্তমানে সন্ত্রাসীদের হামলা ও মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে বাঁচতে এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবি করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভোক্তভূগি সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন।