
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিনকে হত্যা চেষ্টা মামলার সেই মহিলার বিচার শুরু হচ্ছে। সূত্রে, জায়গা বাবদ গিয়াস উদ্দিনের পাওনা টাকা ও জায়গা আত্নসাৎ করতে উল্টো গিয়াস উদ্দিনকে হত্যা করতে চেষ্টা করে বলে এক মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। উক্ত হত্যার চেষ্টায় গত ৮ অক্টোবর ২০২২ইং, রাত ১০টা ৩০ ঘটিকার সময় গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির নিজস্ব চলাচল রাস্তা দিয়া বাড়ি যাবার পথে উক্ত মহিলা ফুটন্ত গরম তৈল নিক্ষেপ করে। এতে গিয়াস উদ্দিনের হাতের ডান বাহু জ্বলশে যায়। উক্ত বিষয় নিয়ে গিয়াস আইনের আশ্রয় নিয়ে চট্টগ্রাম ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ঐমহিলাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। তাং- ১৬/১০/২০২২ইং। যার নং- ৫৩২/২০২২ইং। মহিলার বাড়ি হচ্ছে-সাতকানিয়া থানাধীন সোনাকানিয়া ইউনিয়নের গারাংগিয়া এলাকার রিক্সাচালক মৃত-মোজাহের এর পুত্রবধু আনোয়ারের স্ত্রী চম্পা। উক্ত মহিলার প্রতারণা টের পেয়ে গিয়াস আইনের আশ্রয় নিয়ে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা করেন। তাং-২৯/০৯/২০২২ইং। যার নং- ৫০২/২০২২ইং। উক্ত মামলা করায় গিয়াস উদ্দিনকে উক্ত হত্যা চেষ্টা করে বলে বাদী জানান। এদিকে বাদী গিয়াস উদ্দিনের দায়েরকৃত ৫৩২/২২ইং মামলায় বিবাদী মহিলা গত ২২/০৫/২০২৩ইং আদালতে আত্নসমর্পণ করার জন্য আবেদন করলে মাননীয় বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে আদালতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। এতে প্রাই ১৫দিন কারাভোগ করে জামিনে বের হয়। বর্তমান উক্ত মহিলা গিয়াস উদ্দিনের সাথে প্রতারণা করে ও বাড়ি ঘর জোরপূর্বক দখল করে উল্টো বাদীর বাড়িতেই বসবাস করছে। অরদিকে মামলার বাদী হচ্ছে একেই থানাধীন বারদোনা শাহ মজিদিয়া মার্কেট মালিক সদস্য ও সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন। জামিনে বের হয়ে এদিকে বাদী উক্ত মামলা করায়, বিবাদী চম্পা আক্তারগং ও এলাকার চাঁদাবাজ ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী গিয়াস উদ্দিনের অন্যান্য মামলার আসামীদের নিয়ে আবার ঘটনা ও হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মতে গত ৭ আগষ্ট ২০২৩ইং চম্পা ও আরেফাগং চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী বাহিনীরা বাদীর বসত ঘরে জোরপূর্বক ডুকে বাড়ির জিনিসপত্র ভাংচুর, চুরি, লূটপাট ও মারধর করে। এসময় বাদীসহ ৩জন আহত হয়। এসময় বাদী চিকিৎসার জন্য বের হলে হত্যার উদ্দেশ্য বাদীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে রাইজিং স্টার ক্লাবে নিয়ে নেয়। স্থানীয় ও পুলিশের সহযোগিতায় প্রাণে রক্ষা পায় বাদী। উক্ত বিষয়েও আইনের আশ্রয় নিয়ে বাদী উক্ত প্রতারক চম্পাসহ ২০জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। যার নং-৪১৬/২০২৩ইং। উক্ত মামলাটি সিআইডিকে তদন্ত দিলে সিআইডি স্থানীয় মেম্বার ছফরসহ ১৫জনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রদান করে। ৩জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি, অবশিষ্টদের জন্য সমন জারি করে। ৩জন আদালতে আত্নসমর্পণ করলে জামিন মঞ্জুর করে।
এদিকে উক্ত ঘটনা থেকে বাঁচতে আসামীগণ উক্ত লম্পট মহিলাকে দিয়ে বাদীর ঘটনার পূর্বে বাদী গিয়াস উক্ত মহিলাকে ধর্ষণ চেষ্টা করেছে বলে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এখন প্রতিনিয়ত বাদী ও সাক্ষীদের হুমকি-দমকী দিচ্ছে মামলার সাক্ষী না দেয়ার জন্য এবং এলাকায় গিয়ে জায়গা সম্পদ ভোগ না করার জন্য। বাদী ও সাক্ষীগণ নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করিতেছে।