
নিজস্ব প্রতিনিধি : পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম। অভিযুক্ত রাসেল মাহমুদুল আসাদ রাসেল রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। গতকাল সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ভূক্তভোগী সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রফিকুল ইসলাম সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেখানে যান। সম্মেলন শেষে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ৪ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ওবায়দুল কাদের। বৈঠক শেষে মন্ত্রীরা বের হওয়ার সময় ১ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন রফিকুল। এ সময় সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা করেন রাসেল এবং তার সঙ্গে থাকা ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা। তারা উপযুপরি কিল-ঘুষি দিতে থাকে। এ সময় উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। পরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এগিয়ে আসার পরে রাসেল তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে সরে পরে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাহমুদুল আসাদ রাসেল সবার কাছে মাস্তান রাসেল হিসাবে পরিচিত। রাজবাড়ী জেলার নেতা হলেও বসবাস করেন ঢাকায়। সার্বক্ষণিক অবস্থান করে আওয়ামী লীগ অফিসে। দলের ১ সিনিয়র নেতাকে দেন বিশেষ প্রটোকল। ওই নেতার ছত্র-ছায়া গড়ে তুলেছেন ‘বিশেষ প্রটোকল’ বাহিনী। এই বাহিনীর মাধ্যমে চলে মাস্তানী। তার বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্য, দলীয় নেতাকর্মী এবং পেশাদার সাংবাদিক হয়রানির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ধানমন্ডির কার্যালয়ে সারা দেশে থেকে আগত নেতা-কর্মী এমনকি অনেক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও দুর্বব্যবহার করে রাসেল। আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কর্মরতরাও তার ওপর নানা কারণে ক্ষুব্ধ। সর্বশেষ সোমবার রাসেলের হামলার শিকার হলেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে রাসেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসলে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এমন ঘটনা ঘটে। রফিকের সঙ্গে আমাদের কয়েকজনের ধাক্কা লেগেছে। পরে আমরা সরি বলেছি।ই