
নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে মাটিখেকোদের প্রতিযোগিতামূলক অপকর্ম অব্যাহত রয়েছে। রাতের প্রথম প্রহর থেকে ভোরের আলো ফুটবার পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত ফসলি জমির টপসয়েল কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করছে মাটি খেকোরা। পাল্টা ঐ প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে প্রশাসনও প্রতিযোগিতায় নামেন।
এদিকে, প্রতিরাতেই মাটি খেকোদের এসব কর্মকাণ্ডের সূত্র ধরে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতভর উপজেলার চরম্বা ইউনিয়ন, কলাউজান ইউনিয়ন, আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা ও পদুয়া ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সাড়ে চার লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করার পাশাপাশি ৪টি ডাম্পার জব্দ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাসান। এসময় উত্তর কলাউজানের মৃত ফৌজুল কবিরের পুত্র এরশাদ হোসেন এর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা। আমিরাবাদের মো আবদুল মমিন এর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা এবং পদুয়া স্কুল গেইট এলাকার মফিজুর রহমানের পুত্র জুনাইদ বোগদাদী এর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
সবমিলিয়ে সাড়ে চার লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লোহাগাড়া উপজেলা ক্যাম্পের একটি টিম ও উপজেলা পরিষদের নাজির ও আনসার সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাসান দৈনিক আজাদীকে বলেন, প্রায় প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাটি খেকোদের অপতৎপরতার খবর পাচ্ছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় গত (৩০ ডিসেম্বর) পুলিশ, সেনাবাহিনী, বনবিভাগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ছাত্রসহ সকল স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে জরুরী সভা করেছি এবং তাদের করণীয় নির্ধারণ করে দিয়েছি। পরবর্তীতে রাতভর চরম্বা ইউনিয়ন, কলাউজান ইউনিয়ন, আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা ও পদুয়া ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে সাড়ে চার লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করার পাশাপাশি ৪টি ড্যাম্পার জব্দ করা হয়। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।আ