
নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে রাস্তার জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠছে বিরিয়ানির দোকান। প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা ফুটপাত ও সংযোগ সড়ক দখল করে চালাচ্ছেন বেপরোয়া ব্যবসা, ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট ও জনদুর্ভোগ।
মইজ্জ্যারটেক মোড়ে আকাশ ওরশ বিরিয়ানি হাউস ফুটপাত ও সংযোগ সড়কের কালভার্টের উপর দোকান বসিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে। এখানেই প্রকাশ্যে গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ দোকানের বিষয়ে প্রশাসনকে মৌখিক অভিযোগ জানালেও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত না হওয়ায় এসব অনিয়ম দিন দিন বাড়ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এ বিষয়ে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখছেন না।
অবশেষে প্রশাসনের টনক নড়ে, যখন কর্ণফুলীর ইউএনও ও এসিল্যান্ডের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। প্রশ্ন তোলার মাত্র ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মধ্যেই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক ও চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের মিল্কভিটার সামনে অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরা।
পুলিশের সহযোগিতায় পরিচালিত অভিযানে মইজ্জ্যারটেকের আকাশ ওরশ বিরিয়ানি হাউস এবং ওসমানি ওরশ বিরিয়ানি দোকানকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চরপাথরঘাটা খোয়াজনগর সৈন্যেরটেক মোড়ের পরিস্থিতি দেখে পাশের ডিভাইন ও জিএসএল কোম্পানিতে কর্মরত আজম ও শাহিনা বেগম বলেন, ‘তিন রাস্তার মোড়ে সরকারি জায়গার উপর একের পর এক দোকান গড়ে উঠছে, কিন্তু প্রশাসনের কোনো তৎপরতা নেই। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
বিরিয়ানির দোকান মালিকরা অবশ্য রাস্তা দখলের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করছেন। আকাশ ওরশ বিরিয়ানি হাউসের মালিক মো. আকাশ বলেন, ‘আমি কোনো গাড়ি দোকানের সামনে রাখি না। সিডিএ আবাসিক সড়কের মুখে গরু জবাই করেছি, এটা সত্য। কেউ তো নিষেধ করেনি।
ওসমানি ওরশ বিরিয়ানির মালিক মো. ওসমান গণি বলেন, ‘রাস্তা দখল করছি বলে মনে হয় না। রাস্তায় কোনো গাড়ি বা মানুষ গেলে আমরা জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলি। আর আমাদের দোকান শিগগিরই অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হবে।
এদিকে কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরা জানান, এ বিষয়ে তিনি একটু পরে জানাচ্ছেন। ওদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি এসিল্যান্ড ও স্থানীয় তহসিলদারকে জানাতে। কিন্তু দুই ঘন্টা পরে অভিযান চালাতে দেখা যায়।
স্থানীয়দের দাবি, শুধু জরিমানা করলেই হবে না, বরং এসব অবৈধ দোকান স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করে জনদুর্ভোগের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।আ