
রক্তাক্ত বাংলাদেশ,
কারিমা খাঁন দুলারী।
আহ্ এই বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে সব সময় একটা আতঙ্ক বিরাজ করে যেন রাতারাতি সমস্ত স্বপ্ন আশা বিদীর্ণ হয়ে যায় ঝড়ে পড়ে প্রতিটা নীড়ে অকালে হাজারো প্রাণ! অবিরাম অবিরত চারিদিকে অন্ধকারে কান্নার আওয়াজ আর্তনাদ হাহাকার লাভার মত আগ্নেয়গিরি অবিরাম চলে এই বাংলার বুকে সে ভয়ানক এক যন্ত্রণার মধ্যে মানুষ বসবাস করে যায়। মানুষ এত নিষ্ঠুর নির্দয় স্বার্থের জন্য কি না করতে পারে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধা কে ও হার মানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তরুণ তরুণীর উপর অমানবিক নির্যাতন অত্যাচার অবিচার করে এই বাংলার হৃদয়হীন অত্যাচারী স্বৈরাচার সেখ হাসিনা সরকার। প্রতিটি প্রশাসন কে নিদর্শন দিয়েছে তরুণ তরুণীর বুকে গুলি করতে, কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস এ মর্ম ব্যথা আল্লাহর সহ্য হয়নি, কতটা ভয়ানক রূপ এই রহস্যের অভিযান, সমস্ত নিরীহ মানুষের ওপর কঠিন অ্যাকশন নেয়,এই স্বাধীন বাংলার বুকে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্যকর ইতিহাস বিষাদ কাহিনী। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিরক্তিকর ব্যাপার, উদীয়মান নক্ষত্রের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহ ঘোষণা দেয় ছাত্র সমাজ, তাঁদের বজ্র কন্ঠে ধ্বনিত হয় দেশকে নতুন করে স্বাধীন করবে থাকবে কোন আবর্জনা, তরুণ তরুণীর বিবেকে সারা দেয় ছুটে আসে নতুন জীবন গড়তে, স্বৈরাচারী সরকারের নির্যাতনে বিপাকে বাংলাদেশী জনজীবন ক্ষমতার জোরে দেশটাকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যায় আজ দেশটা তো রসাতলে দিয়ে গেল।এই বাংলার বুকে ছিল না কোন ন্যায়বিচার, বিচার পতি যদি হয় জুলুম নির্যাতন কারী সে দেশের বিচার চাওয়া কি করে সম্ভব, কোটার দাবি করতে গিয়ে হয়েছে ছাত্রদল রাজাকার হারিয়ে বহু তাজা প্রাণ,ঐ রাজপথের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্লোগান দেয় একদফা এক দাবির,এই বাংলাদেশে ছিল না কোন অবিচারের অভিযোগ ট্রাজেডি কারাবদ্ধ কত জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে তা কেউ জানে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় সেখানে চলে অমানবিক নির্যাতন রক্তাক্ত অবস্থায় কত নিথর দেহ উদ্ধার করে,এই কি স্বাধীন বাংলা, পুলিশের টার্গেট গুলি করে হত্যা করা কি ভয়াবহ, মানুষের জীবনে যখন ষোলো আনা পূর্ণ হয়ে যায় তাঁর জীবনে ভয়ানক পতন ঘটে। আল্লাহ বলেন আমি ছাড় দিয়ে থাকি তবে কাউকে ছেড়ে দেই না। জনজীবন বন্দী শালার পাখির মত দিশাহারা হয়ে যায় এই স্বৈরাচারী সরকারের নির্যাতনে কঠোর শাস্তি ভোগ করে, বাহিরে কেউ গেলে পরিবারের সবাই খুব চিন্তিত হয়ে পড়ে বলে যে যুগ জমানা এখন ঘরে ফিরে আসবে তো।এই নির্মম পরিহাস মর্ম কাহিনী কম বেশি প্রতিটা ঘরে ঘরে আছে অবিরত, বুকের গহীনে প্রতিধ্বনিত হয় আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত ক্রন্দন উত্তাল তরঙ্গের মত নির্ঘুম চাতক পাখি কখন যেন বিষাক্ত পদার্থ ঢুকে পড়ে তার নীড়ে জান কবজ করতে।এই করুন নিদারুণ কষ্ট বছরের পর বছর সহ্য করে যায়, বাংলার শহরে গ্রামে অলিগলিতে খুন আর দর্শন চিনিয়ে দিচ্ছে নিমিষেই জীবন। জনগণ এত সতর্ক তবুও হৃদয় মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে, কেউ ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ, যদি ধরে নিয়ে শেষ করে ফেলে এই ক্রাইম থেকে বাঁচতে চায় প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্রের শিকার হয়,এই বাংলার আদালতে লিগ্যাল কোন বিচার হয় না, যাঁরা গরীব দিন মুজুরী কষ্ট করে খায় তাঁরা আজ সব নিঃস্ব তাঁদের অস্তিত্ব রক্ষা করার কেউ নেই, সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে শুধু মামলার আসামি হয়ে, বছরের পর বছর মামলা চালায় যায়, অবশিষ্ট তাঁর জীবনে কিছুই থাকে না, আজ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় বীর ছাত্র সেনার দল কত জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ সারা বাংলায় আজ উল্লাসে জনগণ মাতোয়ারা এই বাংলার ঘরে ঘরে সুখ শান্তির হিড়িক পড়েছে, মনে হচ্ছে সমস্ত মানুষ শান্তির নিশ্বাস ছাড়ছেন, আলহামদুলিল্লাহ সবার মুখে মুখে ধ্বনিত হয়।