
নিজস্ব প্রতিনিধি :
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর যেসব পুলিশ সদস্য এখনো কাজে যোগ দেননি, আমরা তাদের আর পুলিশ বলব না। ক্রিমিনাল বলব। তাদের অপরাধী হিসেবে গণ্য করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে আনসার, পুলিশ ও বিজিবি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দু’একদিনের মধ্যে আপনারা সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি পাবেন। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা উপদেষ্টা কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
কতজন পুলিশ এখনো কাজে যোগ দেয়নি, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ১৮৭ জনের মতো ছিল। এর পরে মনে হয় আর কেউ যোগদান করেননি। তাদের আমরা পুলিশ বলব না, তারা অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে। এক উপদেষ্টা বলেছিলেন ২ মাসের মধ্যে পুলিশ বাহিনী সংস্কার করা হবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, পুলিশ সংস্কারের কাজ ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা। এজন্য আলাদা কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি কাজটি করবে। তারা আমাদের কাছে প্রতিবেদন দেবেন, সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সংস্কার হবে।
তিনি বলেন, এবারের পূজা নির্বিঘ্ন করতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার, সবই নেব। আশা করব এবারের পূজা আগের বারের চেয়ে অনেক ভালো হবে। এজন্য সবার সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি যেটা হয়েছে, সেটা সন্তোষজনক। যত দিন যাবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। এছাড়া বিভিন্ন মাজার ও দরগায় কীভাবে নিরাপত্তা দেওয়া যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আমরা আলোচনা করেছি। বিশেষ করে গার্মেন্টস খাত নিয়ে আমরা কথা বলেছি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি হওয়ার পর ইউপিডিএফ হাতিয়ার সমর্পণ করেনি। জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) কেবল হাতিয়ার সমর্পণ করেছিল। ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঝামেলা আছে। অন্যান্য যারা আছে, তাদের মধ্যেও ঝামেলা আছে। অনেক সময় তারা বাইরে থেকেও কিছু অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। ওটা যাতে না পায়, সেটার একটা ব্যবস্থা করতে হবে। তারা সবাই মিলেমিশে কীভাবে থাকতে পারে, সেটা নিয়ে ব্যবস্থা করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, এ ছাড়া বিভিন্ন মাজার ও দরগায় কীভাবে নিরাপত্তা দেওয়া যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আমরা আলোচনা করেছি। বিশেষ করে গার্মেন্টস খাত নিয়ে আমরা কথা বলেছি।ই