ভোটের অধিকার না থাকায় যারা মেম্বার হওয়ার যোগ্য না তারা এমপি হয়ে গেছে

ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে মেয়র: যেদিন মেয়াদ শেষ হবে আমি বাকি সাড়ে ৩ বছরের জন্য আবেদন করব না, আমার জনপ্রিয়তা কতটুকু আছে সেটা যাচাই করব

নিজস্ব প্রতিনিধি : সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নব্বই এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন হয়েছে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। গত ১৫ বছর ভোটের অধিকার না থাকার কারণে যারা মেম্বার হওয়ার যোগ্য না তারা এমপি হয়ে গেছে। ভোটের অধিকার না থাকার কারণে ভূমিদস্যুরা এমপি হয়ে গেছে। মানব পাচারকারীরা এমপি হয়ে গেছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এমপি হয়ে গেছে, মন্ত্রী হয়ে গেছে। ভোট দেয়ার অধিকার আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। তিনি গত ১ এপ্রিল, মঙ্গলবার নগরবাসীর সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এসময় সবাইকে নিয়ে ক্লিন, গ্রিন, হেলদি চট্টগ্রাম গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

ডা. শাহাদাত বলেন, ট্রাইবুনালের মামলায় জিতে মেয়র হয়েছি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অংশ হিসেবে। আমি আপনাদেরকে বলতে চাই, যেদিন আমার মেয়াদ শেষ হবে আমি বাকি সাড়ে ৩ বছরের জন্য আবেদন করব না। আমি ভোটের অধিকার চাইবো এবং ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে আমি আমার জনপ্রিয়তা কতটুক আছে সেটা আমি যাচাই করবো ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, অনেকে আমাকে বলছে আপনার তো ৫ বছর, যেহেতু গত মেয়রের বৈধতা নেই। আপনি কেন সাড়ে তিন বছরে চলে যাবেন? আপনি আবার এপ্লাই করেন। আপনি পেয়ে যাবেন। আমি বলেছি, না। আমরা ভোটের অধিকারের জন্য আমরা আন্দোলন করেছি। এই ভোটের অধিকার অবশ্যই সবার থাকা উচিত। তারা নিশ্চিন্তে যাতে ভোট সেন্টারে গিয়ে এই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। আমাকে যদি আবারো মেয়র হিসেবে পছন্দ হয় আপনারা ভোট দিবেন। আর যদি আপনারা মনে করেন আমি যোগ্য নই প্রয়োজনে আমাকে আপনারা ভোট দিবেন না। আমি আবার ওই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে থাকবো। আন্দোলন সংগ্রামে থাকবো। কোনো ভয় আমার নেই। জনগণকে আমরা বিশ্বাস করেছি, জনগণের জন্য আমি রাজনীতি করেছি। আমরা তাই ভোটের অধিকার চাই। আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার চাই। কথা বলার স্বাধীনতা চাই।

মেয়র গত ঐদিন মঙ্গলবার রাতে কর্ণফুলী নদীতে একটি ক্রুজ শিপে নগরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে মিলনমেলার আয়োজন করেন মেয়র। এতে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি, নৌবাহিনীর এরিয়া কমান্ডার, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব, জেলা প্রশাসক, সিডিএ চেয়ারম্যান, ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার, ডিজিএফআই, এনএসআই–এর বিভাগীয় প্রধানসহ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ স্বপরিবারে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী, জি বাংলার মীরাক্কেল খ্যাত স্টান্ডআপ কমেডিয়ান কমর উদ্দিন আরমান ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংগীত শিল্পীরা।

এর আগে একইদিন সকালে নগরের লাভ লেইনে একটি কমিউনিটি সেন্টারে প্রায় দশ হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের জন্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের আয়োজন করেন মেয়র। ফিরনি, পোলাওসহ নানা খাবারের মাধ্যমে মেয়রের আতিথেয়তা গ্রহণ করেন অতিথিরা। এছাড়া ঈদের দিন নগরের চকবাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে নগরবাসীর সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। ঈদের দিন সকালে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানে ‘সবাইকে নিয়ে ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মেয়র। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও চসিকের এ উদ্যোগে কয়েকশ শিশুর ঈদের আনন্দ আরও রঙিন হয়ে উঠে।আ

মন্তব্য করুন