বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে চ্যাম্পিয়ন মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
1 min read
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে চ্যাম্পিয়ন মাহমুদউল্লাহ একাদশ। নাজমুল একদশকে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ সাত উইকেটের ব্যবধানে বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপ চ্যাম্পিয়নে । বল হাতে সুমন খানের তোপের পর ব্যাট হাতে লিটন-ইমরুলদের কাছে পাত্তায় পায়নি নাজমুল একাদশ।
নাজমুল একাদশ রবিবার ২৫ অক্টোবর মিরপু শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে সংগ্রহ ১৭৩ রান।
১৭৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি মাহমুদুলরা। আল আমিন হোসেন ৪র্থ ওভারে ওপেনার
মুমিনুল হককে আউট করেন। মাত্র ৪ রান করে ফিরে আসতে হয় মুমিনুল এবং মাহমুদউল্লাহদের জুটি ভেঙ্গে যায় ১৮ রানে।
লিটন দাসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মাহমুদুল হাসন জয়ের লক্ষে ২য় উইকেটে। কিন্ত মাহমুদুল হাসান এই জুটি বেশি সময় স্থায়ী
করতে পারেনি। ১৮ রানে তাঁকে এলবির ফাঁদে ফেলেন নাসুম আহমেদ। দুই উইকেট হারালেও নির্ভার ছিলেন লিটন। ডানহাতি
এই ব্যাটসম্যান আগের ম্যাচগুলোর ব্যর্থতা ফাইনালে মুড়িয়ে দিলেন। ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরির স্পর্শ করেন তিনি ৪৭ বলে। ৬৮
রানে থামে লিটনের ইনিংস। ৬৯ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ বাউন্ডারি দিয়ে।
ইমরুল কায়েসও বেশ সচেতন হয়ে উঠলেন লিটন দাস ফেরার পর। ইমরুল সম্পূর্ণ ম্যাচ খেললেন ৫৩ রানের ইনিংস। সঙ্গে
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ করেছেন ২৩ রান। তিন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের দিনে ২৯.৪ ওভারে জয় তুলে নিয়েছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
নাজমুল একাদশ টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৭৩ রান সংগ্রহ করেন ৪৭.১ ওভারে। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খান
নাজমুলরা। প্রথম ওভারে রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হন ওপেনার সাইফ হাসান। চার রানে ভাঙে নাজমুলদের ওপেনিং
জুটি। সৌম্য সরকার পরের ওভারে চলে যান সাজঘরে। তার পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি বাাঁধেন অধিনায়ক নামমুল হোসেন।
কিন্তু এবার তিনি দলের হাল ধরতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। মুশফিককে এলবির ফাঁদে ফেলেন সুমন খান ১৩
ওভারে। ৩৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় নাজমুল একাদশ। ৩৭ বলে ১২ রানে ফেরেন মুশফিক।
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে
সুমনের বলে উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে পাঁচ রান। রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন আফিফ হোসেন। ফেরার আগে ৫৭ বলে চারটি বাউন্ডারিতে ৩২ রান করেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান।
তারপর তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ইরফান শুক্কুর। তারা দুইজন জুটি বেঁধে ৭০ রান করেন ৮৮ বলে। আশা জাগানিয়া এই জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ। লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তৌহিদ। ফেরার আগে ৫৩ বলে ২৬ রান করেন তিনি। ইরফান শুক্কুর একাই টানেন নাজমুল একাদশকে। নাঈম হাসান তরুন ব্যাটসম্যানকে নিয়ে ধীরে ধীরে দলকে টানতে থাকেন তিনি। ৪৬ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকলেন না নাঈমও। সুমন ৪র্থ শিকার বানান নাঈমকে।
আরো পড়ুনঃ শাস্তি পেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তারপর সুমন তুলে নেন পঞ্চম উইকেট নাসুম আহমেদকে ফিরিয়ে। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে মাটি কামড়ে উইকেটে ছিলেন শুক্কুর। ৭৫ রান করেন শুক্কুর। ৭৭ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল আট বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায়।
সুমন খান ছিলেন সবচেয়ে সফল মাহমুদউল্লাহ একাদশে। ৫ উইকেট নিয়েছেন ৩৮ রান দেন ১০ ওভারে। ২৭ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন রুবেল। সমান একটি করে নেন এবাদত হোসেন, মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।