বাবুনগর মাদ্রাসার বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলনে হেফাজত আমীর


সংবিধানে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন করতে হবে

অনলাইন ডেস্ক : হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও ফটিকছড়ি’র আল জামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা শাহ মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ৭২ এর সংবিধান থেকে কুফরী মতবাদ ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বাতিল করে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু ২০০৮ সালে ভারতের তাঁবেদারি সরকার এসে এক বিচারপতির রায়ের সূত্র ধরে সেই পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে আবারো ৭২ এর সংবিধানে ফেরত গিয়ে মুসলমানদের উপর কুফরী মতবাদ চাপিয়ে দেয়। আল্লাহ সেই সরকারের উপর গজব দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই- সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ থাকতে পারবে না। তার স্থলে ‘মহান আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন করতে হবে এবং ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ’ এর স্থলে ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার উৎস আল্লাহ’ সন্নিবেশন করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশ নিয়ে গভীর চক্রান্ত চলছে। ভারতের মুদি সরকার পতিত স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে তাদের আসল চেহারা উন্মোচন করেছে। সকলকে তাদের আধিপত্য বিস্তারের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি আল্লামা মওদুদীকে ইঙ্গিত করে আরো বলেন, তিনি নবী ব্যতীত সাহাবা-খোলাফাদের সত্যের মানদণ্ড মনে করতেন না। তাই তার প্রতিষ্ঠিত দল জামায়াতে ইসলামীকে ওলামায়ে হক ইসলামী দল মনে করে না। তার দলের প্রধান এক সময় জাসদ ছাত্রলীগ করতো, কমিউনিস্ট ছিল। পরে জামায়াতে যোগদান করে এখন আমীর হয়ে গেছে। ওনি সুরা ফাতিহা শুদ্ধ করে পড়তে পারবে কিনা সন্দেহ। জামায়াত তাকে বানিয়েছে আমীর। এ সমস্ত কারণে আমরা জামায়াতকে ইসলামী দল মনে করি না। তারা আসলে মদিনার ইসলাম চায় না; মওদুদীর ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।

তিনি ফটিকছড়ি’র ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘আল জামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদ্রাসা’র ১০২ তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলনে সভাপতির উদ্বোধনী ও সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আল্লামা হারুন আজিজী নদভী, মুফতি রহিমুল্লাহ ও মুফতি ইকবাল আজিমপুরীর সঞ্চালনায় দু’দিন ব্যাপী এ বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা খলিল আহমদ কুরাইশী, পটিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা আবু তাহের নদভী, মুফতি জসিম উদ্দিন, মুফতি মাহমুদ হাসান, আল্লামা আব্দুল হক হক্কানী, আল্লামা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী, আল্লামা আইয়ুব বাবুনগরী, হেফাজতের যুগ্ম-মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক, মুফতি শাখাওয়াত হোসেন রাজি, মুফতি রেজাউল করিম আবরার, মাওলানা লোকমান হাকিম, মাওলানা ইসমাইল খান, মাওলানা মোস্তফা নূরী, গাজী ছানাউল্লাহ রহমানী, মাওলানা নূর আহমদ, মুফতি আব্দুল হামিদ, মাওলানা জাকারিয়া আল-আজহারী, মাওলানা আনোয়ার শাহ আজহারী, মাওলানা খোবাইব, মাওলানা জুনায়েদ বিন জালাল, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মারুফ, মাওলানা আনাস সোলতানী, মাওলানা জাকারিয়া হাসনাবাদী, ক্বারী আবু সাঈদ, মুফতি খালেদ নানুপুরী প্রমূখ।ই

মন্তব্য করুন