বরিশালে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিনিধি : “টেকসই উন্নয়ন পর্যটন” এই স্লোগান নিয়ে বরিশালে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে র‍্যালী ও আলোচনা সভা মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালী বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় এসে শেষ হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষ্যে অতিথিরা বিশ্ব পর্যটন দিবস এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ওবায়দুল্লাহ’র সভাপতিত্বে সভা ও র‌্যালীতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি অনির্বাণ চাকমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজংসহ অন্যান্য সুধী জনরা।

বক্তারা বলেন, পর্যটন শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বরিশাল অঞ্চলের নদী, খাল-বিল, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটনের সম্ভাবনাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। এসব সম্পদ সংরক্ষণ ও যথাযথভাবে প্রচারের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকৃষ্ট করা সম্ভব। পর্যটন খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, বরিশালে রয়েছে জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত দুর্গাসাগর দিঘিতে আগত দর্শনার্থীদের জন্য দিঘিকে অধিকতর আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে নানা ধরনের দৃষ্টিনন্দন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।

এছাড়াও রয়েছে গুঠিয়া মসজিদ, উজিরপুরের শাপলার বিল, ত্রিশ গোডাউন বধ্যভূমি, ডিসি লেক, বেলস্ পার্ক, কীর্তনখোলা নদীর নয়া অবিরাম দৃশ্য, বিবির পুকুর, বিভাগীয় জাদুঘর, অক্সফোর্ড মিশন চার্চ, উলানিয়া জমিদার বাড়ি, কড়াপুর মিয়াবাড়ি মসজিদ, কলসকাঠী জমিদার বাড়ি, কসবা মসজিদ, গৈলা মনসা মন্দির, মাহিলাড়া মঠ, লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি, শের-ই-বাংলা স্মৃতি জাদুঘর, চাখারসহ বিভিন্ন পর্যটন স্থান রয়েছে।আ

মন্তব্য করুন