পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলে ইটভাটা অবৈধ : হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক : অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশে লাইসেন্স ও পরিবেশগত ছাড়পত্রের বর্তমান পর্যন্ত মেয়াদ না থাকলে সেগুলো উচ্ছেদে প্রশাসনের উপরে নির্দেশনা থাকবে বলেছে হাইকোর্ট।

সমগ্র বাংলাদেশে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ২০২২ সালে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (HRPB) একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন এবং আদালত রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে নির্দেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতা বিগত ১৬.০৩.২০২৫ তারিখে ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষে ২৮.১১.২৪, ২৯.১.২৫ এবং ২৪.২.২৫ তারিখের আদালতের আদেশ সংশোধন চেয়ে একটি আবেদন করা হয়।

আজ ১৮.০৩.২৫ তারিখ, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর আদালতে আবেদনটির উপরে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত পূর্ববর্তী আদেশ সংশোধন করে অবৈধ ইটভাটা শব্দের ব্যাখ্যা দিয়ে আদেশ সংশোধন করেন।

আদেশ বলা হয়েছে যে, ড্রাম চিমনি ও ফিক্সড চিমনি এবং ইট ভাটার বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত লাইসেন্স এবং পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। আদালত আরো উল্লেখ করেন যে, যে পদ্ধতিতে ইটভাটা পরিচালনা করা হোক না কেন লাইসেন্স না থাকলেই সেটা অবৈধ। আদালত পূর্বের আদেশে দেওয়া অপসারণ/ ধ্বংস করার আদেশ বহাল রেখেছে।

শুনানিতে ইট ভাটা মালিক সমিতির পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং এডভোকেট কায়সার কামাল বলেন যে, মালিক সমিতির অনেকের জিগজাগ ইটভাটা রয়েছে সেগুলো সেগুলোও এই আদেশের পরে ভাঙ্গা হচ্ছে। যাতে জিগজ্যাগ পদ্ধতির ইটভাটা ভাঙ্গা না হয় তারা সেরকম আদেশের সংশোধন চান।

বাদি পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, আইন অনুযায়ী লাইসেন্স না থাকলেই ইটভাটা সমূহ অবৈধ সেটা যে পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হোক না কেন।

ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খানের বক্তব্যের জন্য আদালতে একটি আদালত অবমানোনার আবেদন দাখিল করা হয় HRPB-এর পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আবেদনটি শুনানি করেন এবং উক্ত আবেদনটি আদালত তাদের পরবর্তী অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আদেশ দিবেন উল্লেখ করে আবেদনটি বন্ধের পরে আদেশের জন্য রাখেন। তাদের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আউসাফুর রহমান বুলু। এছাড়াও, কিছু ইটভাটা মালিক এই মামলায় পক্ষ হওয়ার জন্য আবেদন করলে আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেন।

HRPB-এর পক্ষের সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন যে আজকের পরে কোন জিগজ্যাগ ইটভাটার বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত লাইসেন্স না থাকলে সেটিও অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে এবং তা আদালতের নির্দেশ অনুসারে ধ্বংস বা উচ্ছেদ করতে হবে।

HRPB-এর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ, তাকে সহায়তা করেন এডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহিদুল হক, এডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া এডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি মোঃ তামিম, ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট মুনতাসির আহমেদ।

মন্তব্য করুন