পরিদপুরে ২’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ আহত- ১০

নিজস্ব প্রতিনিধি : চতুর্থ বিয়ের কথা নিয়ে তর্কের জের ধরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মুনসুরাবাদ গ্রামের দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় নারী- পুরুষসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৬ জনকে ভাঙ্গা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার মুনসুরাবাদ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, মুনসুরাবাদ বাজারে মাওলানা জাহিদ তার মাহফিলের আশা ৮০০ লোকের খাওয়ার জন্য বাজার করেন। এতো লোকের আয়োজন দেখে তার চাচাতো ভাই রাসেল মোল্লা চায়ের দোকানে বসে বলেন, আমার চাচাতো ভাই জাহিদ আগে ৩টি বিয়ে করেছে। সে যে পরিমাণ টাকা খরচ করে তাতে তার আরেকটি ৪র্থ / ৪টা বিয়ে করা উচিৎ । একথা বলার সাথে সাথে জাহিদ মাওলানার শশুর (৩নং স্ত্রীর বাবা) বাবর আলী মাতুব্বর (মেম্বার) দলের ইলিয়াস মাতুব্বরের সাথে আলম মোল্লার (মেম্বার) দলের রাসেল মোল্লার সাথে চারটি বিয়ের কথা নিয়ে কাটাকাটির এক পর্যায় হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনার জের ধরে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) মুনসুরাবাদ গ্রামবাসী ২ দলে ভাগ হয়ে বাবর আলী মাতুব্বরের দলের লোকজন ও আলম মোল্লার দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, ডাল, টেটাঁ, রানদা, ইট পাটকেল নিয়ে ঘন্টা ব্যাপী ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে । আলম মোল্লার লোকজনের হামলায় বাবর আলী মাতুব্বরের লোকজন বেশি আহত হয়। পরে আশপাশের স্থানীয় মাতুব্বর ও ভাঙ্গা থানা পুলিশের সহায়তায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে। এঘটনায় এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। সংঘর্ষে উভয় দলের নারী পুরুষ সহ ১০ জন আহত হয়। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ মাওলানা জাহিদ ও তার ভাই আলম মোল্লাকে আটক করেছে।

এ বিষয়ে লালন মাতুব্বর সাংবাদিকদের বলেন, জাহিদ মাওলানার ভাই আলম মোল্লার লোকজন বাবর আলী মাতুব্বরদের লোকজনকে মারধর করেছে। সেই বিচার আলম মোল্লা না করে উল্টো আমাদের লোকজনের ওপরে হামলা চালিয়ে ৭//৮ জন লোক আহত করেছে। গুরুতর আহতদের মধ্যে- রিয়াজ মাতুব্বর (৫৫), একলাচ মাতুব্বর ( ৩৭), সাইদুল মোল্লা (৩৮) চম্পা বেগম (৩০), দলা মাতুব্বর (২৫) ও কাওছার মাতুব্বরকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকছেদুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করি। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ই

মন্তব্য করুন