পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা : শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে চিঠি দেয়া হবে

অনলাইন ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আইন মন্ত্রণালয় যদি বলে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে চিঠি দিতে, আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করবো। গতকাল রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আমাদের কাছে প্রত্যাশা অনেক। প্রত্যাশা গুলো পূরণের চেষ্টা করা হবে। প্রত্যাশা পূরণ করতে গিয়ে কিছু সংস্কারের প্রয়োজন হবে। স্থিতিশীলতা ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে। কূটনীতিক বিষয়ে সবার সাথে বন্ধুত্ব থাকবে। সুষম সম্পর্ক হবে। আমরা একটা প্যারামিটার ঠিক করে দিয়ে যাবো।

তিনি আরও বলেন, প্রবাসীরা যেন মিশন গুলো থেকে আরও ভালো সেবা পায় সে বিষয়ে কাজ করা হবে। আরব আমিরাতে জেল দেয়া কর্মীদের মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট দেশের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবেন। তারা হয়তো ওই দেশের আইনের ব্যাত্যয় করেছেন। কিন্তু তাদের সেন্টিমেন্ট ছিলো ছাত্রদের পক্ষে। শ্রমিকরা যেন ভালো স্যালারিতে যেতে পারে সেই বিষয়ে কাজ করা হবে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে চূড়ান্তভাবে একটি নিরপেক্ষ এবং সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর। এটা নিয়ে সন্দেহের কোনো সুযোগ নেই। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে, স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। সেটি সাতদিন লাগতে পারে, ১৫ দিন লাগতে পারে, আবার দুই মাসও লাগতে পারে।

নির্বাচন অবশ্যই করতে হবে জানিয়ে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন করতে হবে অবশ্যই। নির্বাচনের মাধ্যমে এ সরকার সরে যাবে। কিন্তু আমরা এখনই বলতে পারছি না যে, ঠিক কতদিন লাগবে। এটা নিয়ে আপাতত কোনো স্পেকুলেট না করি। আমরা কিছুদিন অপেক্ষা করি। এই পরিস্থিতি আসুক দেশের।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই সরকার সবার সাথেই ভালো সম্পর্ক রাখতে বদ্ধ পরিকর। কোন সাইডে হেলে যেতে চাইনা। ভারত ও চীন সমান থাকবে আমাদের কাছে।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের উপর কিছু ভায়োলেন্স ঘটেছে। এটা ধর্মীয় কারণে নয়। রাজনৈতিক কারণে। ধর্মভিত্তিক দলগুলোও তাদের সহযোগিতা করেছে। আমার মনে হয় এটা সীমাবদ্ধ থাকবে। প্রধান উপদেষ্টা দ্রুতই তাদের সাথে বসবেন। যারা এই কাজ করেছেন তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। আমরা আগে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চাই।

ভারতের সাথে পূর্বের সম্পর্ক ঠিক থাকনে কনা এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সাথে আগের সরকারের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ছিলো সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে ভারত দেশের মানুষের কতোটা ঘনিষ্ট ছিলো সেটা দেখার বিষয়। আমরা সরকারের পাশাপাশি যতোটা সম্ভব মানুষের সম্পর্কও বাড়াতে চাই।
এ সময় তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিশাল সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা যাদের ইন্ধনে হয়েছে তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে। প্রয়োজনে অনুসন্ধানে জাতিসংঘও যুক্ত হতে পারে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।ই

মন্তব্য করুন