
কারিমা খাঁন দুলারী
খুলনা জেলা ফুলতলা।
এই নদী মাতৃক বাংলাদেশে আছে প্রকৃতির ছবি
এ বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে কবিতা লেখে কবি।
বাংলা মোর ছয় ঋতুর দেশ নেই অন্য কোনো দেশে
সুজলা সুফলা ধরনীর বুকে থাকি মোরা মিলে মিশে।
ঐ নদীর তীরে শুনি মোরা মাঝিদের কন্ঠে মধুর সুর
হিমেল হাওয়ায় ভেসে আসে রাখালের বাঁশি কত দুর।
জাল ফেলে মাছ ধরে জেলে ভাই ভৈরব নদীর তীরে
কত আনন্দে সুখে তারা বাঁশ করে ঐ বালুর চড়ে।
পথ যাত্রি তীব্র গরমে বসে যায় বৃক্ষের শীতল ছায়ে
কি অপরূপ রূপের দৃশ্য ভরে আছে মোর এই গাঁয়ে।
মাঠের ভিতরে কিশোর কিশোরী খেলে আনন্দে নেচে
খালি পায়ে বুড়া বুড়ি হাঁটে থাকে বহু বছর ধরে বেঁচে।
গরুর গাড়িতে নতুন বউ মেঠো পথ দিয়ে যায় পাড়ি
গাড়ীয়াল ভাই হেলে দুলে যায় ঐ মাঠ ঘাট ছাড়ি।
গাঁয়ের বাড়ীর আঙ্গিনায় বসে নানান গানের আসর
নয়া বধু বাড়ী এলে সাজায় মেতে তাজা ফুলের বাসর।
বাউল ঐ উদাসীন মনে বাজায় কষ্টের একতারা
জীবন তার যাযাবর আনমনে চলা তার এমনই ধারা।
শহরের মানুষ অবাক হয়ে ঐ দৃশ্য গুলো শুধু দেখে
কবি মশাই খাতা কলম হাতে শুধুই কবিতা যায় লিখে।
ফুল তুলে মোরা সবে গাথী বিভিন্ন ফুলের মালা
পরন্ত বিকেলে গৌধুলীর ঐ লগ্নে করি মোরা খেলা।
কৃষক ভাইর মুখে হাঁসি বাড়ীর আঙ্গিনায় ধানের পালা
মোর এই বাংলায় মায়াভরা স্বপ্ন আশা যায় না যে ভুলা।
আযান শুনে গাঁয়ের লোকে ঐ মসজিদে নামাজ পড়ে
সঠিক পথে জীবন যাপন তাঁদের আল্লাহর তরীকা ধরে।