দেশজুড়ে বাংলালিংকের ডিজিটাল সাক্ষরতা কর্মসূচি চালু হচ্ছে ইন্টারনেট ১০১
1 min read
দেশজুড়ে বাংলালিংকের ডিজিটাল সাক্ষরতা কর্মসূচি চালু হচ্ছে ইন্টারনেট ১০১। মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক ফেসবুকের সহযোগিতায় দেশব্যাপী ডিজিটাল সাক্ষরতা কর্মসূচি ‘ইন্টারনেট১০১’ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে। সমগ্র দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রসারের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় টাইগার্স ডেনে আয়োজিত এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠান দুইটির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেলেও মোট জনসংখ্যার একটি বড়ো অংশের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছায়নি।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড়ো প্রতিবন্ধকতা হলো ডিজিটাল সাক্ষরতার অভাব ও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা সম্পর্কে অপর্যাপ্ত ধারণা।
‘ইন্টারনেট ১০১’ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হবে।
এই উদ্দেশ্যে দেশব্যাপী বাংলালিংক-এর ৩০০০টি বিক্রয়কেন্দ্রে পৃথকভাবে গ্রাহকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এছাড়া ডিজিটাল সাক্ষরতা ও অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে আলোচনার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬০০জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে ইয়ুথ কানেক্ট ডিসকাশন ফোরাম আয়োজিত হবে।
বাংলালিংকের ডিজিটাল সাক্ষরতা
বাংলালিংকের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার উপাঙ্গ দত্ত বলেন, বাংলাদেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সাক্ষরতার একটি মৌলিক ভূমিকা রয়েছে। আর এই ডিজিটাল সাক্ষরতার অভাব দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের যৌথ উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরী।
আজ ফেসবুকের সাথে যৌথভাবে ‘ইন্টারনেট১০১’ কর্মসূচিটি চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
তিনি বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে ইন্টারনেটের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের উদ্যোগের পরিসর আমরা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি করে যাচ্ছি।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই যৌথ প্রয়াস আমাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে।
‘ইন্টারনেট ১০১’ বাংলালিংক ও ফেসবুকের দ্বিতীয় ডিজিটাল সাক্ষরতা বিষয়ক কর্মসূচি।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠান দুইটি ‘শিখব ইন্টারনেট, দেখব দুনিয়া’ নামক আরও একটি কর্মসূচি চালু করে।
এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন ১২ লক্ষ নতুন ব্যবহারকারী।
১৮ মাসব্যাপী এই কর্মসূচিতে সঠিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার ও এর সুবিধার উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এছাড়া ব্যবসায়িক উন্নয়ন ও ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে ফেসবুকের ব্যবহারের উপরও নির্দেশনা দেওয়া হয় অংশগ্রহণকারীদের ।
ফেসবুকের মুখপাত্র করণ খাড়া বলেন, ফেসবুক ইন্টারনেটের অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব সময় নির্ভরযোগ্য স্থানীয় সহযোগীদের সাথে কাজ করতে চায়।
এছাড়া পারস্পরিক সংযোগ ও অনলাইন শেয়ারিং-এর জন্য নিরাপদ ও প্রশিক্ষিত একটি কমিউনিটি গড়ে তুলতে চায় ফেসবুক।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধি ও বাংলাদেশে ক্রমশ পারস্পরিকভাবে সংযুক্ত হতে থাকা কমিউনিটির ভিতরে আরও কার্যকরভাবে ডিজিটাল সিটিজেনশিপের ধারণা তৈরির লক্ষ্যে বাংলালিংক-এর সাথে যৌথভাবে আবারও কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।