তাবলিগ জামাতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মামলা খারিজ।
1 min read
তাবলিগ জামাতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মামলা খারিজ। মহামারি করোনায় তাবলিগ জামাতকে বলির পাঁঠা করা হয়, উল্লেখ করে মামলা খারিজ করে দিয়েছে ভারতের মুম্বাই হাইকোর্ট। লকডাইনের সময় তারা নিয়ম ভঙ্গ করেছেন বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তাও নাকচ করে দেওয়া হয়। তাছাড়া তাবলিগ জামাতের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোয় অনুশোচনা করতে বলে আদালত।
গত শুক্রবার তাবলিগ জামায়েতের সদস্যদের বিরুদ্ধে করা এই মামলার শুনানিতে এসব মন্তব্য করেন মুম্বাই হাইকোর্ট। এই সময় তাবলিগ জামাতের ২৯ বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ করেছেন আদালত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, মার্চ মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিনে তাবলিগ জামাতের সমাবেশ হয়।
তারপর হঠাৎ করে দেশটিতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। এই পরিস্থিতি তাদের কাঠগড়ায় তোলা হয়।
সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বলে তাবলিগ জামাতের বিরুদ্ধে অভিযোগে সোচ্চার হয় দেশের প্রধান শাসক দল বিজেপি।
এই জামায়েতে উপস্থিত একাধিক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলারই শুনানি ছিল মুম্বাই হাইকোর্টে।
হাইকোর্ট বলেছে, ‘মিডিয়ার মাধ্যমে এই বিদেশিদের বিরুদ্ধে অযথা ট্রায়াল চলেছে।
রাজনৈতিক দল ও সরকার এই সঙ্কটে এইসব বিদেশিদের বলির পাঁঠা বানানো হয়।’
গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লিতে তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম চলে আসছে।
এই জামায়েত নিয়ে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করে আদালত।
আদালত বলেছে, ‘সরকারের দেওয়া ভিসা নিয়েই ভারতীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং আতিথেয়তার টানে ছুটে এসেছিলেন ওই বিদেশি নাগরিকরা।
বিমানবন্দরে সমস্ত প্রক্রিয়া মিটিয়ে তবেই এ দেশে পা রেখেছিলেন তারা।
ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে নয় বরং ইসলামের রীতি-নীতির সাক্ষী হতেই যে মসজিদে থাকছেন তা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে ছিলেন তারা।
তারপরেও মারকাজে যোগ দেওয়া বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে অনুশোচনার সময় এসেছে।
সরকারের পদক্ষেপে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, অবিলম্বে তাতে প্রলেপ দেওয়া দরকার।’
লকডাউন জারি হয়নি
মসজিদে এত সংখ্যক মানুষের একসঙ্গে থাকা প্রসঙ্গে আদালত বলেছে, ‘নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চের মধ্যে ওই সমস্ত বিদেশি নাগরিকরা ভারতে এসেছিলেন। সেই সময় দেশে লকডাউন জারি হয়নি। তাই লকডাউন জারি হওয়ার পর হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো যখন বন্ধ হয়ে যায়, সেই সময় মসজিদে কিছু মানুষকে আশ্রয় দেওয়া অপরাধ নয়। তাতে আইন অমান্য করাও হয় না।’
আদালত আরো বলেছে, ‘লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর একইভাবে শ্রমিকদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছিল একাধিক গুরুদ্বার। এখানে বিতর্কের কেন্দ্র যে মসজিদ, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সেখানে সাধারণ মানুষের জমায়েত আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ ওই সময়ে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছেন, এমনটাও দেখা যায়নি। তাই এখানে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ খাটে না।
আরো পড়ুনঃ সুশান্তের পোস্টমর্টেমের নতুন তথ্য ফাঁস।