জয়ের পথেই রয়েছে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক:
সৌম্য সরকারের পরপরই আরেক ওপেনার লিটস দাসও ফিরলেও দলকে জয়ের পথেই রেখেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। তৃতীয় উইকেটে দুজন ২৪ বলে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ৩২ রানের জুটি।

জয়ের জন্য আর বাংলাদেশের দরকার ৪২ বলে ৫১ রান। হাতে রয়েছে ৮ উইকেট।

স্তোর: ১৩ ওভারে ২ উইকেটে ১১৫ রান। লক্ষ্য ১৬৬ রান।

ভালো শুরুর পর ফিরলেন সৌম্য

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনারের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। সপ্তম ওভারে সৌম্য সরকারের বিদায়ে ভাঙে ওপেনিং জুটি।

৬.৫ ওভারে মাথিশা পাথিরানার বলে শর্ট মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সৌম্য। ২২ বলে তার সংগ্রহ ৫ চারে ২৬ রান। ১৯ বলে ৩৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন লিটন দাস।

স্কোর: বাংলাদেশ ৭ ওভারে ১ উইকেটে ৭০ রান। (লক্ষ্য ১৬৬ রান)

লক্ষ্যটা রাগালেই রাখল বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার কোনো ব্যাটারকেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দিলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। সময়মতো উইকেট নিয়ে লক্ষ্যটা নাগালেই রেখেছেন মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদরা।

তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ১৬৬ রান।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

বল হাতে নিয়ে ম্যাচের প্রথম ওভারেই মেডেন নেন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম।

দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দোকে খালি হাতে সাজঘরে ফেরত পাঠান আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ।

প্রথম উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ বোলারদের উপর চড়াও হন আরেক ওপেনার কুশল মেন্ডিস ও কামিন্দু মেন্ডিস। তাসকিনের করা চতুর্থ ওভারে ২টি ছক্কা ও ১টি চারে ১৭ রান তুলেন দু’জনে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৫ রান নেন কুশল ও কামিন্দু। এতে পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৪৯ রান পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। অথচ প্রথম ৩ ওভারে লঙ্কানদের রান ছিলো ১ উইকেটে ৮।

নবম ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমনে এসে কুশলকে থামিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন মিডিয়াম পেসার সৌম্য সরকার। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২২ বলে ৩৬ রান করা কুশল। দ্বিতীয় উইকেটে ৪২ বলে ৬৬ রান যোগ করেন কুশল ও কামিন্দু।

সতীর্থকে হারানোর কিছুক্ষণ পর মাহেদি হাসানের থ্রোতে নন স্ট্রাইকে রান আউট হন কামিন্দু। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৭ বলে ৩৭ রানে ফিরেন তিনি। চার নম্বরে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সাদিরা সামারাবিক্রমা। ৭ রান করে মুস্তাফিজের শিকার হন তিনি।

আগের ম্যাচের মত উইকেটে সেট হয়ে মারমুখী হয়ে উঠেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা। ১৪তম ওভারে স্পিনার মাহেদির বলে ২টি ছক্কা মারার পর বোল্ড হন আসালঙ্কা। ১৪ বল খেলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৮ রান করেন লঙ্কান দলনেতা।

দলীয় ১১২ রানে আসালঙ্কা ফেরার পর দলের হাল ধরে ইনিংসের শেষ ৩৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৩ রান যোগ করে শ্রীলঙ্কাকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন দুই সাবেক অধিনায়ক ম্যাথুজ ও দাসুন শানাকা। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। ৪টি বাউন্ডারিতে ২১ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাথুজ। ১টি করে চার-ছক্কায় ১৮ বলে অনবদ্য ২০ রান করেন শানাকা।

তাসকিন, মাহেদি, মুস্তাফিজ ও সৌম্য ১টি করে উইকেট নেন।

মন্তব্য করুন